ওড়িশার সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনদিন ধরে ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া রেঞ্জে ঘোরাফেরা করছে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘিনী। বুধবার সকাল থেকে তার অবস্থান পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত থেকে মাত্র ১০-১২ কিলোমিটারের মধ্যে বলে জানা গেছে। এই খবর পাওয়ার পর থেকেই বেলপাহাড়ি থেকে জামবনি পর্যন্ত তিনটি বনদপ্তরের টিম পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে।
বাঘিনীর গতিবিধি
তিন বছর বয়সী এই বাঘিনী মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া রেঞ্জের জঙ্গলে রয়েছে। চাকুলিয়া রেঞ্জার দিগ্বিজয় সিং জানিয়েছেন, বাঘিনী আপাতত চাকুলিয়া রেঞ্জের এক জঙ্গলে অবস্থান করছে।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষক সত্যজিৎ সিং জানান, ওড়িশা বনদপ্তরের অনুরোধে বাঘিনীকে ট্রাঙ্কুলাইজ ও স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এর অবস্থান নিয়ে এখন কিছু জানানো হবে না।
পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে প্রস্তুতি
পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তরের মুখ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষক দেবাল রায় জানিয়েছেন, বুধবার সকালে বাঘিনীর অবস্থান সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ছিল। জঙ্গল থেকে কাকরাজহর বা ময়ূরঝর্নার দিক দিয়ে এটি পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২০২০ সালে এই এলাকায় খাদারানি বাঁধ সংলগ্ন অঞ্চলে বাঘের পাগমার্ক পাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল।
ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমার ইমাম এবং মুখ্য বন সংরক্ষক বিজয় শালিমাথ জানিয়েছেন, তাদের টিম প্রস্তুত এবং ঝাড়খণ্ডের বনদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় চলছে।
জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণ
জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের সদস্য সচিব গোবিন্দ সাগর ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষক তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং জরুরি পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
জিনাত নামে এই বাঘিনী মহারাষ্ট্রের তাডোবা থেকে এনে গত ২৩ নভেম্বর ওড়িশার সিমলিপালের মূল অঞ্চলে ছাড়া হয়েছিল। তিন দিনের মধ্যে সেটি ঝাড়খণ্ডে এসে পৌঁছেছে এবং এখন পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে নজরদারির কেন্দ্রে রয়েছে।