স্বাস্থ্য ভবনে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠক শেষে তাঁরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, সরকারের কাছ থেকে কোনও কার্যকরী সমাধান পাওয়া যায়নি। বৈঠককে ‘নিষ্ফল’ আখ্যা দিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে দেবাশিস হালদার বলেন, “সরকারের এতটা অনমনীয়তা আশা করিনি। এটি ছিল সময়ের অপচয়। কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।” তিনি আরও যোগ করেন, “সরকারের কাছ থেকে শুধুমাত্র মৌখিক আশ্বাস পেয়েছি, তবে নির্দিষ্ট কিছু জানানো হয়নি।” তারা আমরণ অনশন জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ অবশ্য বলেন, “আমরা আলোচনা করেছি এবং আশা করি, এটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হবে।” তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করার কথাও উল্লেখ করেন এবং বলেন, “প্রয়োজন হলে আবারও আলোচনা করা হবে।”
তবে বৈঠকে কোনও কার্যকরী সমাধান না মেলায়, জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ধর্মতলায় অনশনরত সাতজন জুনিয়র ডাক্তারকে সমর্থন জানিয়ে অন্যান্য ডাক্তাররাও এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। দেবাশিস হালদার বৈঠকের পরে বলেন, “সরকার কোনও নির্দিষ্ট সমাধান না দিলে, আমাদের আন্দোলন চলবে।”
বুধবার সন্ধ্যায় মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেল করে স্বাস্থ্যভবনে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী, জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নিলেও দীর্ঘ তিন ঘণ্টার আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক কোনও সমাধান বা পদক্ষেপ আসেনি বলে দাবি করেছেন তাঁরা। ফলে, তাঁদের আমরণ অনশন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।