বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতিবার রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যাপক বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হয়। সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ গেল ১৫ জনের। আহত হয়েছেন অনেকে। মৃতদের মধ্যে বাঁকুড়ার ৯ জন, পূর্ব বর্ধমানের ৫ জন এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ১ জন রয়েছেন।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এ দিন দুপুর থেকেই কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। বাঁকুড়ার কোতুলপুর, ওন্দা, ইন্দাস, জয়পুর এলাকায় প্রবল বজ্রপাত হয়।
কোতুলপুরের খিরি গ্রামে মাঠে আমন ধান রোপণ করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় জিয়াউল হক মোল্লার (৫০)। তাঁর সঙ্গে থাকা আসপিয়া মোল্লা আহত হন। গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জিয়াউলকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ওন্দার নারায়ণ সাও (৪৮), ইন্দাসের ইসমাইল মণ্ডল (৬০), জয়পুরের খড়িকাশুলি গ্রামের উত্তম ভুঁইয়া (৩৮)-রও মৃত্যু হয় পৃথক বজ্রাঘাতের ঘটনায়।
পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহির সনাতন পাত্র (৬০) ও আউশগ্রামের সঞ্জয় হেমব্রম (২৮) মারা যান মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মামার জমিতে ধান রোপণ করতে গিয়ে বজ্রবিদ্যুৎ শুরু হলে প্রাণ হারান সঞ্জয়। ভাতারে বজ্রাঘাতে আহত হয়েছেন আরও চার জন।
এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের লাহিরগঞ্জ গ্রামে লক্ষ্মীকান্ত পান (৪২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে।
এই ঘটনায় ফের একবার স্পষ্ট হল, ঝড়বৃষ্টির সময়ে মাঠে কাজ করা কৃষক ও শ্রমিকেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। রাজ্য প্রশাসনের তরফে আবহাওয়ার পূর্বাভাস মেনে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।