তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ইংরেজবাজারে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি মাথায় লেগে মৃত্যু হলো জেলা তৃণমূলের নেতা ও কাউন্সিলার দুলাল সরকার (৬২) ওরফে বাবলার। তিনি ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলার ছিলেন।
ঘটনায় প্রকাশ, এ দিন সকালে ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়া এলাকায় নিজের প্লাইউড কারখানার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সেই সময় বাইকে চেপে আসা তিন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাথার কাছে একটি গুলি লেগে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
দুলালের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং জনপ্রিয় নেতা বাবলা সরকার আজ খুন হয়েছেন।” মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, “তৃণমূল কংগ্রেসের গোড়ার দিন থেকে বাবলা এবং তাঁর স্ত্রী দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তিনি জনপ্রিয় কাউন্সিলরও ছিলেন। এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা উচিত।”
এর পর নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতেই এই খুনের প্রসঙ্গ তুলে পুলিশ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, “পুলিশের গাফিলতিতে এই খুন হয়েছে। বাবলার উপর আগেও হামলা হয়েছিল। তখন তাঁর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে তা তুলে নেওয়া হয়।”
এই ঘটনার পর রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সাবিনা ইয়াসমিনকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, দুষ্কৃতীরা দুলালকে তাড়া করছে এবং তিনি কারখানায় ঢুকতেই পরপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলে দুলালের হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।