রাজস্থানে কাজ করতে গিয়ে ‘বাংলাদেশি’ অপবাদে গ্রেফতার! অভিযোগ, মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিক আমির শেখকে রাজস্থান পুলিশ আটক করে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখে। তারপর পে লোডার মেশিনের মাধ্যমে তাঁকে বিএসএফ সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের ওপারে ছুঁড়ে ফেলে পাঠানো হয় বাংলাদেশে!
পরিবারের দাবি, আমির শেখ প্রায় তিন মাস আগে কাজের জন্য রাজস্থানে গিয়েছিলেন। তিনি বাংলায় কথা বলতেন, সেই কারণেই তাঁকে সন্দেহ করা হয়। তাঁর কাছে আধার কার্ড-সহ সমস্ত বৈধ পরিচয়পত্র থাকলেও, রাজস্থান পুলিশ তা আমলে নেয়নি।
অভিযোগ আরও গুরুতর। রাজস্থান প্রশাসন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট সীমান্তে তাঁকে পাঠায়, আর সেখান থেকে বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে পুশব্যাক করে বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় পাঠিয়ে দেয়। অভিযোগ, পে লোডার মেশিন দিয়ে কাঁটাতারের ওপারে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে।
এই ঘটনায় তাঁর পরিবারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আমির শেখ বাংলাদেশ থেকে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন বলে দাবি পরিবারের। ভিডিওতে তাঁকে অসহায় অবস্থায় দেখা গিয়েছে। পরিবার কাঁদছে, তাঁকে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছে।
ঘটনার কথা জানার পর মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব আমিরের বাড়িতে পৌঁছন। জেলা পরিষদের সদস্যরাও সঙ্গে ছিলেন। পরিবার ইতিমধ্যেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে।
এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিপূর্বে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষার উপর সন্ত্রাস চলছে। একাধিক রাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশি’ বলে দাগিয়ে দিয়ে অবৈধভাবে পুশব্যাক করা হচ্ছে।
মালদহের এই ঘটনা ফের সেই আশঙ্কাকেই সামনে এনে দিল। প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া না মিললেও, বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।