অবশেষে মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার বিধানসভায় উপনির্বাচনে জয়ী ছয় তৃণমূল বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আর মুখ্যমন্ত্রী স্বাগত জানান উত্তরীয় পরিয়ে।
সম্প্রতি রাজ্যের ছ’টি বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল। নৈহাটি, হাড়োয়া, মাদারিহাট, সিতাই, তালড্যাংরা ও মেদিনীপুরে জয়ী হয় তারা। এ দিন সেই ছয় বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল বিধানসভায়। এর আগে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে রাজ্য এবং রাজ্যপালের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল। নানা কারণে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি রাজ্যপাল। তবে এ বার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশলেই ঠিক সময়ে বিধানসভায় আসেন সিভি আনন্দ বোস।
সোমবার দুপুরে বিধানসভায় পৌঁছে সৌজন্যের আদানপ্রদান করেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী। নির্ধারিত সময়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথম শপথ নেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক সঙ্গীতা রায়, তাঁর পর একে একে শপথ নেন জয়প্রকাশ টোপ্পো, রবিউল ইসলাম, সনৎ দে, সুজয় হাজরা এবং ফাল্গুনী সিংহবাবু।
অন্য দিকে, এ দিনের এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে বয়কট কর বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
উল্লেখ্য, সিভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্বে আসার পর রাজ্য সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বেশ মসৃণ থাকলেও পরে বিভিন্ন ইস্যুতে তিক্ততা তৈরি হয়। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে দ্বন্দ্ব সেই সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেলে দেয়। তবে এদিনের সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ রাজনৈতিক মহলে নতুন বার্তা দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আর্জি জানাক কেন্দ্র, বিধানসভায় প্রস্তাব মমতার