হুগলির ফুরফুরা শরিফে ইফতারে অংশ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তিনি। জবাব দিলেন এই সফর ঘিরে বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষেরও।
সোমবার বিকেলে ফুরফুরা শরিফে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি, আমি সব ধর্মের অনুষ্ঠানে যাই, এটাকে রাজনৈতিক রং দেওয়া উচিত নয়।”
মমতার এই সফরকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা কটাক্ষ করলেও, তিনি সরাসরি বলেন, “দুর্গাপুজো বা কালীপুজোয় গেলে প্রশ্ন ওঠে না, তাহলে ইফতারে গেলে কেন?” তিনি আরও বলেন, “আমি সব ধর্মের সব অনুষ্ঠানে যাই। আমি ক্রিসমাসে যাই, গুরুদ্বারে যাই, রমজানে যাই, ইফতারেও যাই।’’
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে নির্মিত মেহমানখানায় আয়োজিত এই ইফতারে প্রশাসনিক কর্তা ও ফুরফুরার পীরজাদাদের একাংশ উপস্থিত ছিলেন। যদিও ফুরফুরার অন্যতম ব্যক্তি ও আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এবং তাঁর দাদা আব্বাস সিদ্দিকি অনুপস্থিত ছিলেন।
ইফতারের মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ফুরফুরায় একটি পলিটেকনিক কলেজ তৈরি হবে এবং সেটির নামকরণ হবে পীরজাদা আবু বকর সিদ্দিকির নামে। কিছু পীরজাদা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নতির দাবি তুললে, তিনি আশ্বাস দেন যে সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে মমতা একদিকে সংখ্যালঘুদের কাছে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করলেন, অন্যদিকে বিরোধীদের আক্রমণেরও জবাব দিলেন।