শ্রয়ণ সেন
গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি গরমে ধুঁকছে। তাপমাত্রা ৩৭-৩৮ ডিগ্রি হলেও ‘রিয়েল ফিল’ ৫৬-৫৭ ডিগ্রির মতো। মানুষ চাতকপাখির মতো অপেক্ষা করে বসে আছে, কবে বর্ষা আসবে। উত্তরবঙ্গে নির্ধারিত সময়ের দিনপাঁচেক আগে ঢুকে গিয়েছে বর্ষা। এখন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ বর্ষার জন্য হাপিত্যেশ করে বসে আছেন
বর্ষা ঘোষণার জন্য প্রধান যে শর্তগুলো পূরণ করা জরুরি:
প্রথমত, বর্ষা ঘোষণা করতে হলে সব জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার প্রয়োজন নেই। একটা নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকার ৬০ শতাংশ জায়গাতে বৃষ্টি হলেই চলবে। তাও মাত্র আড়াই মিলিমিটার, যদিও তা পর পর দু’দিন হতে হবে।
দ্বিতীয়ত, আকাশে একটা মেঘের আস্তরণ থাকতে হবে। এর ফলে সূর্যের প্রখর তাপ মাটিতে আসবে না।
তৃতীয়ত, হাওয়ার গতিপথে পরিবর্তন। দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে বয়ে আসা হাওয়া বায়ুমণ্ডলে ঢুকলেই বর্ষার পথ প্রশস্ত হবে। এখনও হাওয়ার গতিপথ অনুকূল হয়নি।
চতুর্থত, তাপমাত্রা কম থাকলেও চূড়ান্ত ঘাম, প্রবল অস্বস্তি। এটা বর্ষাকালের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
আশা করা যায় যে মঙ্গল-বুধবার নাগাদ সব শর্ত পূরণ হওয়া শুরু হবে। আর তার পরেই বর্ষার আগমনের কথা ঘোষণা হয়ে যাবে।
আর ২-৩ দিন এই অসহ্য গরম (অস্বাভাবিক নয়। বর্ষার আগে এই গরমটা পড়ে দক্ষিণবঙ্গে) সহ্য করে নিন।
১০ মে সোমবারের পর থেকেই হাওয়ার গতিপথের পরিবর্তন হবে। পশ্চিমা হাওয়াকে সরিয়ে ধীরে ধীরে দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে হাওয়া দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। বাড়বে বৃষ্টির আনাগোনা।
তার পরেই দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করবে বর্ষা। সম্ভাব্য তারিখ ১৩-১৪ জুন।
আরও পড়ুন
তীব্র গরমে দুর্বিষহ অবস্থা অ্যামাজনের গুদামকর্মীদের, নির্বিকার শ্রম মন্ত্রক