আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে যখন প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, সেই সময় শিক্ষারত্ন ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হলেন বিশিষ্ট শিক্ষক দীপক মজুমদার। ২০১৩ সালে শিক্ষারত্ন পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার রামশঙ্করপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক মজুমদার। মঙ্গলবার, শিক্ষক দিবসে তিনি নিজের পুরস্কারটি বিকাশ ভবনে গিয়ে ফিরিয়ে দেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি আরজি করের নির্যাতিতার প্রতি নিজের সংহতি ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
দীপক মজুমদার বলেন, “এই লজ্জাজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই আমি শিক্ষারত্ন ফিরিয়ে দিচ্ছি। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা আমাদের সকলের জন্য ঘৃণার বিষয়। এই সরকারের কোনও দফতর সঠিকভাবে কাজ করছে না, এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।” তিনি আরও বলেন, “আমি আর এই পুরস্কারের ভার বইতে চাই না। তিলোত্তমার ওপর যেভাবে পাশবিক অত্যাচার ও হত্যা হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানাতেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত দীপক মজুমদার ১৯৭১ সাল থেকে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি ছাত্র পরিষদে কাজ করেছেন এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বাম আমলে এবং বর্তমান সরকারের আগমনে দীপকবাবুর সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল বর্তমান সরকারের কাছে, কিন্তু তা পূরণ হয়নি। মানুষ গর্জে উঠেছে, এই প্রতিবাদের গর্জন সর্বত্র পৌঁছে গেছে।”
আরজি কর মামলার শুনানি ৯ সেপ্টেম্বর, শীর্ষ আদালতের নতুন তারিখ ঘোষণা
দীপক মজুমদারের শিক্ষারত্ন ফেরানোর এই পদক্ষেপ রাজ্যের রাজনৈতিক এবং সামাজিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। আরজি কর ঘটনার পর থেকে প্রতিবাদের ঢেউ উঠছে, এবং দীপকবাবুর এই প্রতিবাদ সেই আন্দোলনের একটি প্রতীকী পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে তিনি।