কলকাতা: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা হতে চলেছে আজ। শিয়ালদা আদালত দুপুর ১টায় দোষীর শাস্তি নির্ধারণ করবে। সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে মৃত্যুদণ্ড, এবং সর্বনিম্ন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
তবে এই মামলার তদন্তে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত চিকিৎসকের পরিবার। অভয়ার মা অভিযোগ করেন, “সিবিআই এখনও ঠিকভাবে বের করতে পারেনি আমার মেয়েকে কোথায় খুন করা হয়েছিল।” পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় রায় নয়, আরও অন্তত ৫০ জন অপরাধী জড়িত থাকতে পারে।
আদালত চত্বরে প্রতিবাদ জমায়েত
দুপুর ১টায় আদালতের সামনে জমায়েত করবে অভয়া মঞ্চ ও জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস। তাঁদের দাবি, “অপরাধে যুক্ত প্রত্যেককে চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।” জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশও এই প্রতিবাদে যোগ দেবে বলে জানা গেছে।
তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ
পরিবারের তরফে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভয়ার বাবা বলেন, “যদি সঠিক তদন্ত করা হতো, তাহলে এতদিনে সমস্ত দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া যেত।”
মামলার পটভূমি
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়। তবে পরিবারের দাবি, এই ঘটনার পেছনে বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে এবং আরও অনেক দোষী রয়েছে যারা এখনও ধরা পড়েনি।
আজ আদালতের রায় নির্ধারণ করবে, সঞ্জয় রায়ের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে নাকি মৃত্যুদণ্ড। এই রায়ের উপর নির্ভর করছে নিহত চিকিৎসকের পরিবার এবং আন্দোলনকারীদের ন্যায়বিচারের আশা।