আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নির্যাতিতার মা। তিনি জানালেন, ‘‘সিবিআই ৯০ দিনের মধ্যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয়নি বলেই অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে গেলেন। এটি আমাদের জন্য এক বিরাট হতাশার কারণ।’’
শুক্রবার সিবিআই আদালতে এই মামলার শুনানি ছিল। তদন্ত সংস্থার তরফে জানানো হয়, মামলার প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ধৃত সন্দীপ এবং অভিজিৎ ৯০ দিন ধরে হেফাজতে রয়েছেন, অথচ এখনও সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হয়নি। এর পরেই অভিযুক্তদের আইনজীবী দাবি করেন, চার্জশিট না থাকার ফলে তাঁদের জামিন পাওয়া আইনত স্বাভাবিক।
তদন্তের দেরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘আমি চূড়ান্ত হতাশ। সিবিআই যদি সঠিক সময়মতো কাজ করত, তাহলে আজ এই দিন দেখতে হতো না।’’ অন্যদিকে, সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তদন্ত এখনও চলছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের পর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।
আরজি কর মামলায় জামিন পেলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল
জামিন পেয়ে গেলেও সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ হবে না, এমনটাই জানিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার। তাঁদের মতে, মামলাটি খুবই জটিল এবং তদন্তের গতি সঠিক পথে এগোচ্ছে।
নির্যাতিতার মা সিবিআইয়ের গাফিলতি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, ‘‘আমি যদি নিজে সিবিআই হতাম, তাহলে কাজটা আমি করতাম। আমার মেয়ে ন্যায়বিচার পাবে কি না, তা নিয়ে আমি সন্দিহান।’’
প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক চিকিৎসক-ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা কলকাতা। সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। কিন্তু চার্জশিট জমা দিতে বিলম্ব হওয়ায় তাঁরা শুক্রবার জামিন পান। এই ঘটনা আরও একবার সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল।