উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: এ বছর সুন্দরবনের ‘মিনি সুন্দরবন’-এ ভিড় ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। নতুন পর্যটন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানের কারণে পর্যটকদের আকর্ষণ বেড়েছে। একদিকে কুলতলি আর অন্যদিকে ঝড়খালি – এই দুই এলাকা পর্যটকদের মধ্যে বেশ চাহিদা বাড়াচ্ছে। মাঝের মাতলা নদী পার হয়ে গেলে সুন্দরবনের আসল স্বাদ পাওয়া যায়, যা পর্যটকদের মন জয় করে।
মাতলা নদীর পাশাপাশি নদীর একটি শাখা হেরোভাঙাও আছে, যার পাড় থেকে ঘন জঙ্গল এই এলাকার মায়া বাড়িয়ে তুলছে। এখানে টাইগার রেসকিউ সেন্টার রয়েছে, যেখানে ধরা পড়া বাঘদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই সেন্টারের কাছ থেকে বাঘের গর্জনও শোনা যায়। এছাড়া, ঝড়খালির কাছে সুধন্যখালি ওয়াচ টাওয়ার এবং দোবাঁকির জঙ্গলে হেঁটে ঘোরার সুযোগ রয়েছে।
কলকাতা থেকে সরাসরি ঝড়খালিতে পৌঁছানোর সুবিধাও এই এলাকার জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ। মাত্র ১০৫ কিলোমিটার দূরে থাকায় গাড়িতে যাওয়াতে বেশ সময় লাগে না। তাছাড়া, ঝড়খালির আশেপাশের গ্রামের কারিগরদের তৈরি উলু ঘাস দিয়ে তৈরি ঝুড়ি, বাস্কেট, হাতপাখা, টুপি এবং নানা ধরনের ব্যাগ পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
এছাড়া, বনিক্যাম্প, নেতাধোপানি ওয়াচ টাওয়ার ও সূর্যমণি দ্বীপের মতো কম ভিড়ের স্থানে ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে। প্রকৃতির সান্নিধ্য, বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জীবনযাত্রা দেখে পর্যটকদের মন ভরে ওঠে। কাছাকাছি জলগোপালপুরে প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহশালাও পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়িয়েছে।

এই সব সুবিধার কারণে এবছরের শীতে মিনি সুন্দরবনের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে।