চেন্নাইয়িন এফসি: ৩ (নিশু কুমার, উইলমার জোর্দান গিল, ড্যানিয়েল চিমা চুকু) ইস্টবেঙ্গল এফসি: ০
হায়দরাবাদ এফসি: ৩ (আলান ডিসুজা মিরান্দা, রামলুনছুঙ্গা, জোসেফ সানি) মহমেডান এসসি: ১ (মকন চোথে)
খবর অনলাইন ডেস্ক: এ বারের আইএসএল-এর টেবিলে যে দলগুলো একেবারে নীচের দিকে রয়েছে তারাই শনিবার মুখোমুখি হয়েছিল। সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেও কলকাতার দু’টি দলই আবার পরাজয়ের মুখ দেখল। প্লে অফে যাওয়ার অতি মৃদু আশা ছিল ইস্টবেঙ্গলের। চেন্নাইয়িন এফসি-র কাছে ৩-০ গোলে হেরে আশাভঙ্গ হল তাদের। আর এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচ পরাজিত হয়ে হারের হ্যাটট্রিক করল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তারা হায়দরাবাদ এফসি-র কাছে হারল ৩-১ গোলে।
এ দিনের পর ইস্টবেঙ্গল নেমে গেল একাদশ স্থানে। ১৯ ম্যাচ থেকে তাদের পয়েন্ট থাকল ১৮-তেই। আর চেন্নাইয়িন এফসি ২০ ম্যাচ থেকে ২১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে উঠে এল দশম স্থানে। মহমেডানকে হারিয়ে এ দিন ৩ পয়েন্ট ঘরে তুলল হায়দরাবাদ এফসি। ১৯ ম্যাচ থেকে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াল ১৬। আর এ দিনের হাওরের পরে মহমেডান স্পোর্টিং থাকল একেবারে শেষ তথা ত্রয়োদশ স্থানে। ১৯ ম্যাচ থেকে তাদের পয়েন্ট থাকল ১১ পয়েন্টেই।

ইস্টবেঙ্গল-চেন্নাইয়িন ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
রক্ষণভাগের দুর্বলতার খেসারত দিল ইস্টবেঙ্গল
আইএসএল-এর এ বারের মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের প্লে অফে যাওয়ার আশা একেবারেই যে ছিল না তা নয়। কিন্তু শনিবার চেন্নাইয়িন এফসি-র কাছে হেরে সেই আশায় জল ঢেলে দিল ইস্টবেঙ্গল। দীর্ঘদিন পর নিজেদের রক্ষণে প্রথম সারির খেলোয়াড়দের পেয়েছিল লাল-হলুদ বাহিনী। কিন্তু তাদেরই খারাপ পারফরম্যান্সের খেসারত দিল দল। এক দিকে রক্ষণভাগের দুর্বলতা আর অন্য দিকে গোলের সুযোগ নষ্ট। পরিণামে যা ঘটার তা-ই ঘটল। চেন্নাইয়িনের কাছে ৩-০ গোলে হারতে হল তাদের।
শনিবার কলকাতার সল্ট লেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত ম্যাচে শুরুটা ভাল করলেও ২১ মিনিটের মধ্যে দু’টি গোল খাওয়ার পর থেকেই ছন্দহীন হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। আর ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে তৃতীয় গোলটি করে জয় সম্পূর্ণ করল চেন্নাই। এই হারে হতাশ লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন। ম্যাচের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রুজোন বলেন, এ দিনের ম্যাচে হারের পরে আর প্লে অফে যাওয়ার আশা করছেন না তিনি।
মহমেডান-হায়দরাবাদ ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি Indian Super League ‘X’ থেকে নেওয়া।
হায়দরাবাদ-মহমেডান ম্যাচে সুযোগ নষ্টের প্রতিযোগিতা
শনিবার হায়দরাবাদ এফসি-র কাছে ৩-১ গোলে হেরে গেলেও মহমেডান স্পোর্টিংও গোল করার বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল। দু’টি দলের মধ্যে সারা ম্যাচ জুড়ে সুযোগ নষ্টের প্রতিযোগিতা চলে। দু’টি দলই বহু সুযোগ পেলেও খুব কমই কাজে লাগাতে পারে। তারই মধ্যে তুলনায় বেশি সুযোগ কাজে লাগিয়ে জয় পেল হায়দরাবাদ এফসি।
হায়দরাবাদ শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক মেজাজে। ম্যাচের ২৪ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড অ্যালান পলিস্তা। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ গোল করে এগিয়ে থাকার ব্যবধান বাড়িয়ে নেন তরুণ ফরোয়ার্ড রামলুনছুঙ্গা। দ্বিতীয়ার্ধে মহমেডান উঠে পড়ে লাগে ম্যাচে সমতা ফেরানোর জন্য। এবং ৭৮ মিনিটের মাথায় তারা তার ফলও পেয়ে যায়। একটি গোল শোধ করেন মহমেডানের পরিবর্ত ফরোয়ার্ড মকান চোঠে। কিন্তু দুর্ভাগ্য মহমেডানের। ম্যাচ শেষ হওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে হায়দরাবাদের হয়ে তৃতীয় গোল করেন পরিবর্ত ফরোয়ার্ড জোসেফ সানি।