মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন-কাণ্ডে ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাঁদের মধ্যে ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার (পিজিটি) রয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই স্ত্রী রোগ ও অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের ২২ জন পিজিটি ডাক্তার কর্মবিরতিতে যান। শুক্রবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে মেডিক্যাল কলেজের সব বিভাগে।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, সিনিয়র ডাক্তার ও প্রশাসনের তত্ত্বাবধানেই কাজ করেন তাঁরা। তাঁদের মতে, দায় চাপিয়ে তাঁদের দোষী করার চেষ্টা চলছে। এর প্রতিবাদেই কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন। তাঁদের মধ্যে ছয় পিজিটি ডাক্তার হলেন মৌমিতা মণ্ডল, পূজা সাহা, জাগৃতি ঘোষ, ভাগ্যশ্রী কুন্ডু, মণীশ কুমার, এবং সুশান্ত মণ্ডল।
এ ঘটনার পরই জুনিয়র ডাক্তাররা অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দীকে ইমেল করে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত জানান। তাঁদের দাবি, যথাযথ তদন্তের আগেই জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেন্ড করা অনুচিত।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ভবন মেদিনীপুর মেডিক্যালের নতুন সুপার হিসেবে ইন্দ্রনীল সেনকে দায়িত্ব দিয়েছে। ইতিমধ্যেই তিনি হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অসুস্থ প্রসূতি রেখা সাউয়ের সন্তানের ময়নাতদন্তের রিপোর্টও বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।