শ্রয়ণ সেন
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেটা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেটা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। অর্থাৎ, এই সময় পারদ স্বাভাবিক ভাবে যা থাকার কথা, তাই রয়েছে। তবুও ‘শীত না পড়া’ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা শোরগোল দেখা যাচ্ছে।
এটা ঠিক যে চার-পাঁচ দশক আগে এই সময়ে শীত শীত ভাব অনেকটাই এসে যেত কলকাতায়। কিন্তু বিগত ১০-২০ বছর ধরে নভেম্বরের এই সময়ে যেমন পারদ থাকার কথা, এ বারও সেটাই রয়েছে। পরিবর্তন খুব একটা হয়নি। শুধুমাত্র সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বেশি পতন দেখা যাচ্ছে না। অন্যান্য বার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এই সময়ে ২০-২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকত, সেটা এখন একটু বেশি থাকছে।
তথ্যই বলে দেয় যে শীত না আসা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে হইচই দেখা যাচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। কারণ এখন শীত পড়ার কথাই নয়। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গিয়ে যদি পারদের এমন পরিস্থিতি দেখা যায়, সে ক্ষেত্রে হইচই করা যেতে পারে।
তবে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা না কমলেও পার্শ্ববর্তী অনেক জেলাতেই পারদ কমছে। পুরুলিয়াতে এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে, যা এই সময়ের স্বাভাবিক। বোলপুরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক, অর্থাৎ ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রয়েছে।
আগামী দু’ দিন দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফের ১০ থেকে ১৩ তারিখও বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। অনেকে হয়তো সেটা নিয়েও হইচই করবেন। এ ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে নভেম্বরে কলকাতা স্বাভাবিক নিয়মে ৭টি বৃষ্টির দিন পায়।
অতএব, শীত কেন আসছে না, এই নিয়ে হইচই করার সময় এখনও আসেনি। স্বাভাবিক নিয়মে যদি তাপমাত্রার পতন না হয়, তখন বিষয়টা নিয়ে চর্চা করা যাবে। আপাতত মনে করা হচ্ছে যে ১৫ নভেম্বরের পর কলকাতার তাপমাত্রা কুড়ি ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।