বাংলার ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখযোগ্য ভাবে, এ বার প্রথম বারের মতো আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট বিধানসভা আসনে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েছে তৃণমূল। উল্টো দিকে, মাদারিহাট ধরে রাখতে ব্যর্থ বিজেপি।
ফলাফলের পর দেখা গেছে, তৃণমূল শুধু ছয়টি আসনে জয়লাভ করেনি, বরং মাদারিহাটে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। অন্য দিকে, এই উপনির্বাচন আরও একবার প্রমাণ করল যে বাংলায় বাম এবং কংগ্রেস এখন প্রান্তিক শক্তি হিসেবে রয়ে গেছে।
গ্রাম ও শহর মিলিয়ে কোনো আসনেই বাম-কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দেখা যায়নি। একমাত্র হাড়োয়া আসনে বাম সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম দ্বিতীয় স্থানে থেকে নিজের জামানত বজায় রাখতে পেরেছেন। তবে বাকি পাঁচ আসনে বাম প্রার্থীরা জামানত হারিয়েছেন। কংগ্রেস পৃথকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ছয়টি আসনেই জামানত হারিয়েছে।
সিতাই
সঙ্গীতা রায় (তৃণমূল)- ১৬৫৯৮৪
দীপককুমার রায় (বিজেপি)- ৩৫৩৪৮
মাদারিহাট
জয়প্রকাশ টপ্পো (তৃণমূল)- ৭৯১৮৬
রাহুল লোহার (বিজেপি)- ৫১০১৮
তালড্যাংরা
ফাল্গুনী সিংহবাবু (তৃণমূল)- ৯৮৯২৬
অনন্য রায় চক্রবর্তী (বিজেপি)- ৬৪৮৪৪
মেদিনীপুর
সুজয় হাজরা (তৃণমূল)- ১১৫১০৪
শুভজিৎ রায় (বিজেপি)- ৮১১০৮
নৈহাটি
সনৎ দে (তৃণমূল)- ৭৮৭৭২
রূপক মিত্র (বিজেপি)- ২৯৪৯৫
হাড়োয়া
শেখ রাবিউল ইসলাম (তৃণমূল)- ১৫৭০৭২
পিয়ারুল ইসলাম (এআইএসএফ)- ২৫৬৮৪
শনিবার ভোট গণনা শুরু হতেই প্রতিটি কেন্দ্রেই এগিয়ে গিয়েছে শাসক ঘাসফুল শিবির। তবে, ঘাটালে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অংশ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এই ফলাফল কোনও বিপর্যয় নয়। বাংলাতে উপনির্বাচন হয় না। কিছুদিন আগে ধুপগুড়িতে আমাদের জেতা আসনে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। লোকসভা ভোটে জয়ন্ত রায় কুড়ি হাজার ভোটে জিতেছেন সেখানে। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।’