কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই বেলাগাম অশান্তির অভিযোগে সরব বিরোধীরা। এরই মধ্যে শনিবার ক্যানিংয়ে পৌঁছোন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এ দিন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ক্যানিং পৌঁছোন রাজ্যপাল। ক্যানিংয়ে পৌঁছেই সেচ দফতরের একটি ভবনে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। ওই বৈঠকে পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকেরা ছিলেন।
গত বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং। বাসন্তী হাইওয়েতে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি এবং গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে সুনীল হালদার নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন বলে ক্যানিংয়ের জোড়াফুল শিবিরের একটি অংশের তরফে দাবি করা হয়। তবে পুলিশ জানায়, দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সংঘর্ষে। ক্যানিংয়ের এসডিপিও-সহ কয়েক জন পুলিশ কর্মীও ওই সংঘর্ষে জখম হন।
সূত্রের খবর, আজ রাজ্যের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। ১৯ তারিখের পর ফেরার কথা ছিল তাঁর। তবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নালিশের পরেই সেই কর্মসূচি বাতিল করে ক্যানিং যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এ দিনই রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে এসে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি গতকাল বাসন্তী গিয়েছিলাম। সেখানে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা ওনাকে বলেছি। জ্যোতিষপুরে আমাদের প্রার্থীর বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে। লুঠপাট চলেছে। সবটাই রাজ্যপালকে বলেছি। তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষের উপরে এই ধরনের আক্রমণ মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্যপাল সেটা মেনেও নিয়েছেন।”
গতকাল সন্ত্রাস-বিধ্বস্ত ভাঙড়ে যান রাজ্যপাল। সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি এলাকাবাসীর সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজার ঘুরে দেখেন। এলাকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখা ছাড়াও, ভাঙড়-২ বিডিও অফিসে যান রাজ্যপাল। সেখানে ব্লক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “যে কোনো মূল্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। হিংসা বরদাস্ত করা হবে না, পদক্ষেপ করা হবে। ভাঙড়ের কিছু জায়গায় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। কী ঘটেছিল জানতে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি”।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব! চমকে দেওয়া প্রত্যুত্তর নিতিন গডকড়ীর