কলকাতা: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খানিকটা হলেও স্বস্তি! তুমুল দুর্যোগ দক্ষিণবঙ্গে, একাধিক জেলায় শিলাবৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৩ কিলোমিটার। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আজও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। তৈরি হবে কালবৈশাখীর পরিস্থিতি, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সত্যি করে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার পর বিভিন্ন জেলায় কালো মেঘে ঢাকতে শুরু করে আকাশ। কিছুক্ষণ ধরে ব্যাপক ঝড় চলার পর শুরু হয় বৃষ্টি। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হয়। ঝড়বৃষ্টির জেরে ভ্যাপসা গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি মানুষের। গতকালের ঝড়বৃষ্টিতে কলকাতায় পারদ নেমেছে।
পূরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান প্রভৃতি জেলায় ঝড়-বৃষ্টির তীব্রতা ছিল বেশি। বিকেল নাগাদ পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা হয়ে বজ্রগর্ভ মেঘ কলকাতা ও আশপাশের এলাকাগুলিতে চলে আসে। কলকাতায় ঝোড়ো হাওয়া বইলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত খুব বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কম বেশি ঝড়বৃষ্টি হয়। যদিও রাতে ফের কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়।
হাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবারও দেখা যাবে একই ছবি। তবে ২৭ তারিখের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরপ্রদেশ থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে দক্ষিণ বাংলাদেশ পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা আছে। বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম বাতাস প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলে টেনে নিয়ে আসছে। এর জেরে গোটা রাজ্য জুড়ে গত কয়েকদিন ধরে চলছে ঝড়বৃষ্টি।
সবমিলিয়ে শুক্র ও শনিবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রমে তা কমে আসবে। শনিবারের পর ঝড়-বৃষ্টির কোনও সতর্কবার্তা আপাতত দেওয়া হচ্ছে না। ও দিকে, দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে উত্তরবঙ্গের মানুষকে আরও একদিন বেশি অপেক্ষা করতে হবে। ২৮ তারিখ থেকে ঝড়-বৃষ্টি কমবে উত্তরবঙ্গে।
আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক বিরোধীদের, আমন্ত্রণ গ্রহণ ২ দলের