শনিবার কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার প্রস্তাব ফের ভেস্তে গেল, মূলত লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বিষয়ে মতবিরোধের কারণে। জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের দাবি অনুযায়ী বৈঠকটি সরাসরি সম্প্রচার করতে চেয়েছিলেন, তবে মুখ্যমন্ত্রী এতে সম্মতি দেননি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তি দিয়েছেন যে এই মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন, তাই সরাসরি সম্প্রচার সম্ভব নয়। এর পরিবর্তে তিনি প্রস্তাব দেন যে বৈঠকটি ভিডিও করা হবে এবং পরে সেটি প্রকাশ করা হবে, যদি সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদন দেয়।
অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তাররা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিতে অনড় ছিলেন। তাদের মতে, সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে সবার সামনে পরিষ্কারভাবে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরা যাবে, এবং এতে কোনো অস্পষ্টতা থাকবে না। তারা মনে করেন, এই পদক্ষেপ তাদের দাবি ও অবস্থানের প্রতি স্বচ্ছতা আনবে এবং সরকারী প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা বাড়াবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “ এত অসম্মান কেন করছেন আপনারা? এর আগে নবান্নেও দুদিন অপেক্ষা করেছি। আজও দুঘণ্টা অপেক্ষা করছি।” এর পর কার্যত কাতর সুরে প্রশ্ন, “এটুকু সম্মানও দেবে না।” তিনি আরও বলেন যে তিনি চান প্রকৃত বিচার হোক এবং এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
এই পরিস্থিতির ফলে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনার প্রক্রিয়া আবারও স্থগিত থাকে।
আরজি করে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ মামলাতেও সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার সন্দীপ, ধৃত টালা থানার প্রাক্তন ওসিও
যদিও জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, পরে তাঁরা স্ট্রিমিং ছাড়াই আলোচনায় রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান দেরি হয়ে গিয়েছে আর আলোচনা করা যাবে না। পরে ধর্না মঞ্চে গিয়ে ডাক্তাররা দাবি করেন, আলোচনা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের জানানো হয় দেরি হয় গিয়েছে।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বলা হয়, আমরা আলোচনায় রাজি হয়েছিলাম। হয়ত একটু দেরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওনারা বললেন আমাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। সকালে উনি বলেছিলেন উনি আন্দোলনের ফসল তাহলে আজকের এই ঘটনা আন্দোলনকে অবমাননা নয়। এই যদি হয় তবে মাওরা কীভাবে আসস্থা ভরসা রাখব। আমাদের দিক থেকে আলোচনার পরিসর খোলা থাকবে। আলোচনায় আমরা রাজি। আমাদের যে ফ্রন্ট তৈরি হয়েছে সেখান থেকে আলোচনায় বসার আবেদন প্রক্রিয়া চলবে।’’
তবে এবার দুপক্ষের কেউ আলোচনা চাইলে, ডাক্তাররা ‘লাইভ স্ট্রিমিং’-এর দাবি থেকে কি সরে আসবেন? এখন সেটাই দেখার।