বুধবার ছিল মহিলাদের রাত দখলের রাত। ছিল স্বাধীনতার রাত। আর সেই রাতেই আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যায় আজ অকল্পনীয় ঘটনা। কার্যত বিনা বাধায় হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। সঙ্গে ছিল চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা ও হুমকি।
আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় এক মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় উত্তাল বাংলা সহ গোটা দেশ। তারই প্রতিবাদে গত বুধবার রাতে মহিলাদের রাত দখল কর্মসূচি পালিত হয় গোটা রাজ্য জুড়ে। এরই মধ্যে ওই রাতে রণক্ষেত্রের আকার নেয় আরজি কর হাসপাতাল। ধ্বংসলীলা চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই রাতের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন এক কর্তব্যরত নার্স।
ধরনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে ওই নার্স বলেন, “ওই রাতে হঠাৎই বাইরে থেকে কিছু দুষ্কৃতী, বহিরাগত গুণ্ডারা ঢুকে পড়ে। তারা হাসপাতাল জুড়ে তাণ্ডব চালায়। স্পেশাল নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট বা এসএনসিইউ ডিপার্টমেন্টও বাদ পড়েনি। সেখানে ঢুকে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়ে বলে, ‘আজ বেঁচে গেছিস, কাল বাঁচবি না। মা-বাচ্চা কেউ বাদ যাবে না। রেপ করব’। সে সময় পুলিশেরও কোনো সহযোগিতা আমরা পাইনি।”
নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, “নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে পুলিশ নিজেই লুকোনোর জায়গা খুঁজছে। পুলিশ বলছে, ‘আপনারা আমাদের বাঁচান।’ কেউ কেউ কম্বল চাইছেন, পেশেন্টদের বাথরুমেও ঢুকে পড়েন। পুলিশ কোথায় আমাদের সুরক্ষা দেবে তা না হয়ে আমরা ওদের সুরক্ষা দিচ্ছি তখন। আমাদের তাহলে নিরাপত্তা কোথায়?”
এ দিকে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরেক মোড়। সূত্রের খবর, নিহত মহিলা চিকিৎসকের বাবা-মা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে (সিবিআই) বলেছেন যে হাসপাতালের বেশ কয়েকজন ইন্টার্ন এবং চিকিৎসক এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।