খবর অনলাইন ডেস্ক: আজকালের মধ্যে ফের সৌরঝড় আঘাত হানতে পারে পৃথিবীতে। এই সৌরঝড়ের জেরেই গত শুক্রবার থেকে দফায় দফায় পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় মেরুজ্যোতি দেখা যায়। বাদ যায়নি ভারতের লাদাখও। আবার মেরুজ্যোতি দেখার সম্ভাবনার কথা জানাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওসিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওওএ)। সৌরঝড় তৈরির কথা জানিয়েছে নাসাও।
এনওওএ জানিয়েছে, আর-একটি সৌরঝড়ের পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার ৬০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। এবং তা ঘটলে আজকালের মধ্যে ঘটবে। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে আবার মেরুজ্যোতি দেখা যাবে।
নাসার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে সূর্য সংক্রান্ত নানা ক্রিয়াকলাপ অনুসরণ করা হয়। তারাও জানিয়েছে, ১৩ মে আর-একটি সৌরঝড় সৃষ্টি হয়েছে এবং সেই সৌরঝড়ের ক্ষমতা রয়েছে পৃথিবীকে আঘাত করার।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে বলেছে, “আবার একটা! ১৩ মে সোমবার এম ৬.৬ শ্রেণির সৌর উদ্গিরণ হয়েছে। (গত সপ্তাহে যে ক’টা উদ্গিরণ সেগুলোর মতো শক্তিশালী নয় বটে, তবে যথেষ্ট জোরদার)। এই সপ্তাহে আমরা সৌরঝড় এবং পৃথিবীতে তার প্রভাব নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি। দেখতে থাকুন!”
মেরুজ্যোতি তথা ‘অরোরা’ স্বাভাবিক আলোকে সম্মোহিত করে দেয়। তার ফলে আকাশে সৃষ্টি হয় উজ্জ্বল আলোর অসংখ্য ফিতে। নানা রঙের আলো। এই আলোর ছটা সাধারণত মেরু অঞ্চলে দৃশ্যমান হয়। বিশ্বের অন্য স্থান থেকে এই মেরুজ্যোতি দেখা যাবে কি না তা নির্ভর করে সৌরঝড়ের তীব্রতার উপরে। গত সপ্তাহে ভারতের লাদাখ থেকেও মেরুজ্যোতি দেখা গিয়েছিল কারণ সৌরঝড়ের তীব্রতা ছিল খুব বেশি।
সৌরঝড়ের তীব্রতা মাপা হয় ‘জি স্কেলে’ অর্থাৎ জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম স্কেলে। এর পাল্লা জি১ থেকে জি৫ পর্যন্ত। প্রতিটি স্তরে ভিন্ন ভিন্ন ভূচুম্বকীয় ক্রিয়াকলাপ দেখা যায়। জি১ মাপের সৌরঝড় পাওয়ার গ্রিডে ছোটোখাটো প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু সৌরঝড়ের তীব্রতা যদি জি৫ হয়, তা হলে তা বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড়ো রকম বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে।
গত শুক্রবার যে সৌরঝড় পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল তার তীব্রতা ছিল জি৫। দু’ দশক পরে এত তীব্র সৌরঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানল। সৌরঝড় এত তীব্র ছিল বলেই তা ভারতের লাদাখ থেকে দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন
রঙিন আলোয় উজ্জ্বল রাতের আকাশ, ভারতের লাদাখ থেকেও দেখা গেল মেরুজ্যোতি