লাল গ্রহ মঙ্গল নিয়ে দেশবিদেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মনে উত্তেজনা তুঙ্গে। ভবিষ্যতে মঙ্গলে দীর্ঘ মেয়াদে জনবসতি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর মধ্যেই ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এবার মঙ্গলগ্রহের এমন একদিক বিশ্বের সামনে তুলে ধরলেন যা এতদিন অজানা ছিল। এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে মঙ্গলে যে রোবট বা মহাকাশচারী পাঠানো হবে সেই অভিযানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
নবি মুম্বইতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ জিওম্যাগনেটিজম-এর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের খোঁজ এবং তার লাল গ্রহের আয়নোস্ফিয়ারে প্রভাব আগামী দিনে মঙ্গলে আরও রোবটযান পাঠাতে এবং তার পরবর্তীকালে মানুষ পাঠাতে প্রভূত সাহায্য করবে। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের দাবি, মঙ্গলের মাটিতে যে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পাওয়া গেছে তা দিনেরবেলায় সক্রিয় থাকলেও রাতে প্রায় নিষ্ক্রিয় থাকে।
পাশাপাশি ভারতীয় বিজ্ঞানীদের দাবি, পৃথিবীর মতো লাল গ্রহ মঙ্গলগ্রহের সর্বত্র চৌম্বকীয় ক্ষেত্র কাজ করে না। মঙ্গলগ্রহের যে ভূত্বক রয়েছে তা মঙ্গলগ্রহ জুড়ে সর্বত্র চৌম্বকীয় শক্তির জোগান দিতে পারে না। মঙ্গলের সর্বত্র তাই চৌম্বকীয় শক্তি কাজ করে না। তবে যেটুকু অংশে করে সেই অংশ মঙ্গলের আয়নোস্ফিয়ারকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই তত্ত্ব এত দিন বিজ্ঞানীদের অজানাই ছিল। প্রসঙ্গত মঙ্গলগ্রহের দক্ষিণ গোলার্ধের কিছু কিছু জায়গার চৌম্বকীয় শক্তি খাপছাড়াভাবে সক্রিয়। সর্বত্র নয়।
দীর্ঘ সময় ধরে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র নিয়ে গবেষণা করছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ জিওম্যাগনেটিজম-এর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তাঁরা এবার তাঁদের গবেষণাক্ষেত্র বিস্তৃত করেছেন মঙ্গলেও। বিজ্ঞানীদলে আছেন সি নায়েক, ই ওয়াগিত, বি রেমাইয়া, জে বুলুসু, এস সিং, এস দেবনন্দন, এ পি দিমরি এবং পি পাধ্যায়।
আরও পড়ুন
মঙ্গলের জমিতে তেজস্ক্রিয়তা থেকে বাঁচতে মামুলি জিনিস দিয়ে পোশাক বানালেন গ্রিক বিজ্ঞানীরা