খবর অনলাইন ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন, আইএসএস) আগে থেকেই রয়েছেন সাত মহাকাশচারী। বৃহস্পতিবার বিকেলে (ভারতীয় সময়) শুভাংশু শুক্ল-সহ আরও চার মহাকাশচারী সেখানে পৌঁছে যান। শুভাংশুরা মহাকাশ স্টেশনেই পৌঁছোতেই সেখানকার মহাকাশচারীরা তাঁদের জড়িয়ে ধরেন।
শুভাংশুদের অপেক্ষাতেই বসেছিলেন আইএসএস-এর সাত মহাকাশচারী। পৃথিবী থেকে রওনা হওয়া চার মহাকাশচারীকে নিয়ে তাঁদের উদ্বেগও ছিল। অবশেষে সেই প্রতীক্ষা ও উদ্বেগের অবসান ঘটল। নবাগত মহাকাশচারীদের হাতে পানীয় তুলে দেওয়া হয়।
আইএসএস থেকে বার্তা পাঠান শুভাংশু। বলেন, ‘‘মাথাটা ঝিমঝিম করছে। কিন্তু আগামী ১৪ দিন আমরা এখানে যা করব, তার তুলনায় এই বিষয়টা কিছুই নয়। এটা গর্ব এবং উত্তেজনার মুহূর্ত, মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে আমাদের ব়ড় পদক্ষেপ।’’
ভারতীয় সময় বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ আমেরিকার ফ্লরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে চেপে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন শুভাংশুরা। এই অভিযানে ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন লখনউয়ের ছেলে শুভাংশুর সঙ্গে রয়েছেন পোল্যান্ডের স্লায়োস উজ়নানস্কি-উইসনিউস্কি, হাঙ্গেরির টিবর কাপু এবং আমেরিকার পেগি হুইটসন। নাসার এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হুইটসন।
শুভাংশুদের অভিযানের নাম ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’। এলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের ‘ড্রাগন’ যানে চেপে তাঁরা আইএসএস-এ পৌঁছেছেন। প্রতি ঘণ্টায় ২৬,৫০০ কিলোমিটার গতি ছিল মহাকাশযানের। ২৮ ঘণ্টা পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে আইএসএস-এ পৌঁছোন শুভাংশুরা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১৪ দিন থাকবেন তাঁরা। সেখানে অন্তত ৬০টি পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন তাঁরা।
এই প্রথম কোনো ভারতীয় আইএসএস-এ পা রাখলেন। রাকেশ শর্মার অভিযানের প্রায় চার দশক পরে মহাকাশে কোনও ভারতীয় পাড়ি দিলেন। শুভাংশুর অভিযানের লাইভ সম্প্রচার লখনউয়ে তাঁর স্কুলে বসে দেখেন বাবা, মা, আত্মীয়, বন্ধুরা।
আরও পড়ুন: ‘জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি’, উৎক্ষেপণের আগে স্ত্রী কামনাকে আবেগঘন চিঠি শুভাংশুর