ইংল্যান্ড: ১৩২ (জোস বাটলার ৬৮, বরুণ চক্রবর্তী ৩-২৩, অর্শদীপ সিংহ ২-১৭, অক্ষর পটেল ২-২২)
ভারত: ১৩৩-৩ (অভিষেক শর্মা ৭৯, সঞ্জু স্যামসন ২৬, জোফ্রা আর্চার ২-২১)
কলকাতা: ৪৩ বল বাকি থাকতেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি২০ ম্যাচে সহজেই জয় পেল ভারত। পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে দুরমুশ করে ৭ উইকেটে জিতল তারা। এই জয়ের পিছনে মূল অবদান ব্যাটিং-এ অভিষেক শর্মার (৩৪ বলে ৭৯ রান) আর তার আগে বোলিং-এ বরুণ চক্রবর্তী (৩-২৩), অর্শদীপ সিংহ (২-১৭) ও অক্ষর পটেলের (২-২২)।
নাকানিচোবানি খেল ইংল্যান্ড
বুধবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত প্রথম টি২০ ম্যাচে টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। একমাত্র অধিনায়ক জোস বাটলার ছাড়া কেউই ভারতের বোলারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারেননি। স্কোরবোর্ডে কোনও রান যোগ হওয়ার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ফিল সল্ট। অর্শদীপের বলে উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসনকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সল্ট। দলের ১৭ রানে আউট হন আর এক ওপেনার বেন ডাকেট। তিনিও অর্শদীপের শিকার হন।

বরুণকে অভিনন্দন উইকেটকিপার সঞ্জুর। ছবি:সঞ্জয় হাজরা।
দলের পতন ঠেকাতে হাল ধরেন জোস বাটলার এবং হ্যারি ব্রুক। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ৪৮ রান। ইংল্যান্ডের রান তখন ৭.৩ ওভারে ৬৫। ফিরে গেলেন ব্রুক ১৪ বলে ১৭ রান করে। বরুণের বলে নীতিশ কুমার রেড্ডিকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। এর পরই প্যাভিলিয়নের পথ ধরার মিছিল শুরু হয়ে যায়। বাকি ১২.৩ ওভারে ইংল্যান্ড যোগ করে ৬৭ রান, হারায় ৭টি উইকেট। বাটলার আর ব্রুক ছাড়া একমাত্র জোফ্রা আর্চার দুই অঙ্কের রানে পৌঁছোন। আর্চার করেন ১০ বলে ১২ রান। ফিল সল্ট থেকে বাকি ব্যাটারদের রান ক্রমান্বয়ে ০, ৪, ০, ৭, ২, ২, ৮ এবং ১। এ থেকেই সহজেই অনুমেয় ভারতীয় বোলারদের কাছে কী ভাবে নাকানিচোবানি খেয়েছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। একমাত্র বাটলার করেন ৪৪ বলে ৪৮ রান।
ঝড়ের গতিতে রান ভারতের
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৩ রান তোলার লক্ষ্য নিয়ে ভারত দুর্দান্ত শুরু করে। মাত্র ৪.৫ ওভারে তারা তুলে নেয় ৪১ রান। ইনিংস ওপেন করেন সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মা। দু’ জনেই আক্রমণাত্মক ঢঙে খেলা শুরু করে। ৪১ রানে যখন সঞ্জু আউট হন তখন তাঁর রান ২০ বলে ২৬। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব খাতা খুলতে না পারায় ভারত ওই ৪১ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায়। সঞ্জুকে তোলেন আদিল রশিদ এবং সূর্যকুমারকে তোলেন জোফ্রে আর্চার।
ভারতের জয়ের আরও দুই কান্ডারি অভিষেক শর্মা (বাঁ দিকে) এবং অর্শদীপ সিংহ (ডান দিকে)। ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
এর পর আর এক ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং ৪ নং ব্যাটার তিলক বর্মার জুটি তৃতীয় উইকেটে ৭ ওভারে যোগ করেন ৮৪ রান। ঝড়ের গতিতে রান উঠতে থাকে। জোফ্রে আর্চার যখন অভিষেককে ফেরত পাঠান তখন ভারত জয় থেকে মাত্র ৮ রান দূরে। হাতে তখনও ৮.১ ওভার। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৮ রান ৬ বলে তুলে নেন তিলক বর্মা (১৬ বলে ১৯ অপরাজিত) এবং হার্দিক পাণ্ড্য (৪ বলে ৩ অপরাজিত)। প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হন বরুণ চক্রবর্তী।