Home খেলাধুলো ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারত: রিঙ্কু-সূর্যের দুর্দান্ত ব্যাটিং কাজে এল না, দ্বিতীয় টি২০...

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারত: রিঙ্কু-সূর্যের দুর্দান্ত ব্যাটিং কাজে এল না, দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতল ৫ উইকেটে  

0
জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা। ছবি প্রোটিয়াস মেন 'এক্স' থেকে নেওয়া।

ভারত: ১৮০-৭ (১৯.৩ ওভার) (রিঙ্কু সিং ৬৮ নট আউট, সূর্যকুমার যাদব ৫৬, গেরাল্ড কোয়েৎসি ৩-৩২, তাবরাইজ শামসি ১-১৮)   

দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৫৪-৫ (১৩.৫ ওভার) (রিজা হেনড্রিক্স ৪৯, আইডেন মার্করাম ৩০, মুকেশ কুমার ২-৩৪)

গেবের্হা (দক্ষিণ আফ্রিকা): বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস (ডার্কওয়ার্থ-লেউইস-স্টার্ন) পদ্ধতির প্রয়োগে টি২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গেল ভারত। প্রথম টি২০ ম্যাচ বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়েছিল। সুতরাং তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে সমতা আনতে হলে ভারতকে শেষ ম্যাচে জিততে হবে। আগামী ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জোহানেসবার্গের নিউ অয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার গেবের্হার (পূর্বতন পোর্ট এলিজাবেথ) সেন্ট জর্জেস পার্কে আয়োজিত দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রিঙ্কু সিং এবং সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটিং-এর দৌলতে ভারত ১৯.৩ ওভারে পৌঁছে যায় ১৮০ রানে। বিনিময়ে হারায় ৭ উইকেট।

এর পরই বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি থামার পর খেলা যখন আবার শুরু হয় তখন ডিএলএস পদ্ধতির কারণে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্যমাত্রা সংশোধিত হয়ে দাঁড়ায় ১৫ ওভারে ১৫২ রান। ৭ বল বাকি থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়। তারা করে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান। ফলে ৫ উইকেটে ভারতকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

দুই ওপেনারই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে  

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত তার দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল আর শুবমন গিলকে ৬ রানের মধ্যেই হারায়। এই দুই ওপেনারের কেউই খাতা খুলতে পারেননি। এর পর ইনিংসের হাল ধরেন তিলক বর্মা এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রান যোগ হওয়ার পর তিলক বর্মা ২০ বলে ২৯ রান করে আউট হন।

এর পর সূর্যকুমারের সঙ্গে যোগ দেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচের সিরিজে ঝড় তোলা রিঙ্কু সিং। এ দিন সূর্যকুমারের সঙ্গে তিনিও ফের ঝড় তোলেন। সূর্যকুমার ও রিঙ্কু দলের রান পৌঁছে দেন ১২৫-এ। ৩৬ বলে ৫৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সূর্যকুমার। রিঙ্কুর ঝড়ের সঙ্গে কিছুটা সাথ দেন রবীন্দ্র জাদেজা। দলের রান যখন ১৮০ তখন শুরু হয় বৃষ্টি। ভারতের ইনিংসের তখনও ৩টি বল বাকি ছিল।

৭ বল বাকি থাকতেই জয়

বৃষ্টি থামার পর যখন দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ব্যাট শুরু করে তখন ডিএলএস পদ্ধতিতে তাদের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৫ ওভারে ১৫২ রান। তুলনায় কিছুটা কঠিন। কিন্তু এই সামান্য কঠিন লক্ষ্যমাত্রা দক্ষিণ আফ্রিকা টপকে যায় ৭ বল বাকি থাকতেই।

শুরুটা ভালোই করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭.৫ ওভারে তারা পৌঁছে যায় ২ উইকেটে ৯৬ রানে। অর্থাৎ আরও ৭.৫ ওভার বাকি। আর জয়ের জন্য রান বাকি ৬৫। এই কাজটা সহজ করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার রিজা হেনড্রিক্স এবং কিছুটা অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। হেনড্রিক্স করেন ২৭ বলে ৪৯ রান। আর মাত্র ১ রান করতে পারলে হেনড্রিক্স তাঁর শেষ ১২টা টি২০ ইনিংসের মধ্যে ৮টিতেই অর্ধশত রান করতেন। মার্করাম করেন ১৭ বলে ৩০। দক্ষিণ আফ্রিকার বাকি ব্যাটাররা খুব সহজেই ৬.৪ ওভারে ৫৮ রান তুলে নেন।

তাবরাইজ শামসি ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’

রিঙ্কু সিং, সূর্যকুমার যাদব বা রিজা হেনড্রিক্সের মারমুখী চমকপ্রদ ব্যাটিং সত্ত্বেও এ দিন ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ তাবরাইজ শামসি। তিনি ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ভারতের অধিনায়কের উইকেটটি দখল করেন। তবে শামসিকে এই সম্মাননা দেওয়া হয় এ দিনের ম্যাচে সবচেয়ে ‘কৃপণ’ বোলার হওয়ার জন্য। এই ম্যাচে বোলিং করেছেন ১১ জন বোলার। তাঁদের মধ্যে শামসিই সবচেয়ে কম রান দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

সৌরভ গাঙ্গুলি আবার বললেন, তিনি বিরাট কোহলিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরাননি

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version