Home খেলাধুলো ক্রিকেট শাহবাজের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতকে চাপে ফেলল বাংলা

শাহবাজের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতকে চাপে ফেলল বাংলা

পাঁচ মাস পর চোটমুক্ত হয়ে দলে ফিরে দুর্দান্ত বোলিং করেন শাহবাজ আহমেদ। ১১ ওভারে ১৭ রানে গুজরাতের ৪ উইকেট দখল করলেন তিনি।

এ দিনের বাংলার নায়ক -- শাহবাজ আহমেদ। ছবি CAB Instagram থেকে নেওয়া।

কলকাতা: পাঁচ মাসের বিরতির পর চোটমুক্ত হয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করলেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। ডান কাঁধের চোট কাটিয়ে দলে ফিরে এসেই চার উইকেট তুলে নিয়ে বাংলা দলকে এগিয়ে রাখলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ইডেন গার্ডেন্সে রবিবার রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ-সি ম্যাচে শাহবাজের বলের মোকাবিলা করতে না পেরে গুজরাত করল ৭ উইকেটে ১০৭ রান।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৪৪ রান হাত নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলা শেষ পর্যন্ত অল আউট হয় ২৭৯ রানে। তবে খারাপ আলোর জন্য এ দিনও দীর্ঘ সময় খেলা ব্যাহত হয়। তবুও বল হাতে ছন্দে ছিলেন বাংলার পেস জুটি মহম্মদ শামি ও আকাশ দীপ। নিখুঁত লেংথে বল করে, আর্দ্র পরিবেশে বাউন্স ও মুভমেন্ট আদায় করে নেন দু’জনেই।

শামি দারুণ ছন্দে বোলিং করে প্রথম আঘাত হানেন — অভিষেক দেশাইকে এলবিডব্লিউ করেন। এর পর আকাশ দীপ বোল্ড করেন আর এক বাঁহাতি ব্যাটার, আর্য দেশাইকে। লাঞ্চের আগে শামি ফিরিয়ে দেন সিদ্ধার্থ দেশাইকে।

তবে দিনের আসল নায়ক ছিলেন শাহবাজ আহমেদ। প্রায় ১১ মাস পর বাংলার জার্সিতে ফিরে ১১ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। ম্যাচের আগে তাঁর খেলা নিয়েই ছিল সংশয় — মূলত ব্যাটিং দক্ষতার কারণে দলে রাখা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিং ও নিখুঁত লাইন-লেংথে গুজরাতের মিড্‌ল অর্ডারের ব্যাটিং গুটিয়ে দেন তিনি।

বাংলা ভাবাচ্ছে গুজরাতকে। রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে। ছবি ‘এক্স’ থেকে নেওয়া।

২৬ মিনিটের বৃষ্টিবিরতির পর শাহবাজ ভাঙেন মনন হিংরাজিয়া ও উমাং কুমারের ৩১ রানের জুটি — উমাং এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। এর পর জয়মিত পটেল ‘প্লেড অন’ হন। উরভিল প্যাটেল পটেল ফ্লাইটেড ইয়র্কার মিস করে বোল্ড হন, আর বিশাল জয়সওয়াল ধরা পড়েন মিড অন-এ।

ম্যাচ শেষে শাহবাজ বলেন, “ম্যাচের আগের দিনই প্রথমবার অনুশীলনে বোলিং করি। দীর্ঘ স্পেল করতে পেরে ভালো লাগছে। পরিকল্পনাটা ছিল শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকা এবং প্রতিপক্ষের ভুলের অপেক্ষা করা।”

শামিও বলের পুরনো অবস্থায় দারুণ নিয়ন্ত্রণ দেখান — ছয় ওভার বোলিং করে দেন তিনটি মেডেন।

গুজরাতের হয়ে একমাত্র প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক মনন হিংরাজিয়া। তিনি ৪১ রান করে (১৬৩ বলে, ৪টি চার) এক প্রান্তে টিকে ছিলেন, শামির বলে একবার জীবন পানও। তবে বাকিরা ব্যর্থ হন। দিনের খেলা আগেভাগেই থেমে যায় খারাপ আলোর কারণে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version