খবর অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাঙালি মেয়েদের ইতিহাস গড়ার খবর আসছে । এবার ইতিহাস গড়লেন দীপা কর্মকার। এশিয়ান জিমন্যাস্টিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের ভল্ট ফাইনালে ভারতীয় হিসাবে প্রথম সোনা জিতলেন দীপা। এর আগে খবর এসেছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম ভারতীয় হিসাবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন অনসূয়া সেনগুপ্ত।
রবিবার উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় উত্তর কোরিয়ার দুই প্রতিযোগীকে হারিয়ে ৩০ বছরের দীপা এই কীর্তি স্থাপন করলেন। ফাইনালে দীপার গড় স্কোর ১৩.৫৬৬। ফাইনালে তিনি হারান উত্তর কোরিয়ার কিম সন হ্যাং-কে। তাঁর গড় স্কোর ১৩.৪৬৬। স্কোর দেখেই বোঝা যাচ্ছে কেমন টান টান লড়াই হয়েছিল ফাইনালে। ব্রোঞ্জ জিতেছেন উত্তর কোরিয়ার আর-এক প্রতিযোগী জো কিয়ং বিয়ল। তাঁর গড় স্কোর ১২.৯৬৬।
এর আগে এশিয়ান জিমন্যাস্টিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয়রা ৪টি পদক জিতেছেন, ৪টিই ব্রোঞ্জ। তার ১টি দীপার ঝুলিতে রয়েছে। ২০১৫-য় মেয়েদের ভল্টে ব্রোঞ্জ জেতেন দীপা। ২০০৬-এ পুরুষদের ফ্লোর এক্সারসাইজে ব্রোঞ্জ জেতেন আশিস কুমার। এর পর ২০১৯ এবং ২০২২-এ মেয়েদের ভল্টে ব্রোঞ্জ জেতেন প্রণতি নায়ক।
দীপা মেয়েদের ভল্টে সোনা জিতলেও এ বছরের প্যারিস অলিম্পিক্সে জায়গা করতে পারলেন না। গত শুক্রবার অল রাউন্ড ক্যাটেগরিতে দীপা ৪৬.১৬৬ স্কোর করে ষোড়শ স্থান অধিকার করেন। ফলে প্যারিস অলিম্পিক্সে যাওয়ার জন্য এশিয়ান জিমন্যাস্টিক্সে যে কোটা রয়েছে তাতে জায়গা হল না দীপার।
জীবনের নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে দীপাকে। ২০১৬ সালের রিয়ো অলিম্পিক্সে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয় দীপার। ফাইনালে প্রোদুনোভা ভল্টে চতুর্থ হন তিনি। ২০১৬-এর এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জেতেন দীপা। তার পর থেকে ক্রমাগত চোট ভুগিয়েছে তাঁকে।
এদিকে বছরকয়েক আগে ডোপ টেস্টে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি পেতে হয়েছিল দীপাকে। তাঁকে ২১ মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল। ২০২৩-এর জুলাইয়ে নির্বাসনপর্ব কাটিয়ে খেলার জগতে ফেরেন। বছর কাটতে না কাটতেই আবার দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন।
আরও পড়ুন
প্রথম ভারতীয় হিসাবে কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার কলকাতার অনসূয়ার