খবর অনলাইন ডেস্ক: ফুটবল বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে কাতারকে বিতর্কিত গোল উপহার দেওয়া নিয়ে তদন্ত দাবি করল অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। এআইএফএফ এ ব্যাপারে ম্যাচ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে।
এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে এক বিবৃতিতে ওই গোল নিয়ে ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত’ দাবি করেছেন। মঙ্গলবার দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে ভারত-কাতার খেলাটি ছিল ‘জিততেই হবে’ এমন একটি ম্যাচ। বল গোললাইন পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ কোরিয়ার রেফারি কিম উ-সুং কাতারের পক্ষে গোল দেন। ফলে কাতার ২-১ গোলে জিতে যায়।
‘নজরদারিতে বিশাল ত্রুটি’র ব্যাপারটি খুঁটিয়ে দেখার অনুরোধ করে ‘ফিফা হেড অফ কোয়ালিফায়ার্স’, ‘এএফসি হেড অফ রেফারিজ’, ‘এএফসি হেড অফ কমপিটিশন্স’ এবং ওই ম্যাচের কমিশনারকে চিঠি লিখেছে এআইএফএফ।
এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেছেন, “এই অবিচারের সুরাহা করতে খেলার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের (স্পোর্টিং কমপেনসেশন) সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্যও আমরা অনুরোধ করেছি।”
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জয়-পরাজয় খেলার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং আমরা তা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেওয়ার শিক্ষা পেয়েছি। কিন্তু গত রাতে ভারতের বিরুদ্ধে যে দুটো গোল হল তার একটা নিয়ে যে সব প্রশ্ন উঠল তা অনুত্তরিতই থেকে গেল।”
ভারত-কুয়েত ম্যাচের ম্যাচ কমিশনার ছিলেন ইরানের হামেদ মোমেনি। তাঁর দায়িত্ব হল ম্যাচ ঠিক ভাবে সংঘটিত হচ্ছে কি না তা দেখা এবং খেলা চলাকালীন ফিফার নিয়মকানুন মেনে চলা হচ্ছে কি না তা সুনিশ্চিত করা।
৭৩ মিনিটে কাতারের আবদুল্লা আলাহরাকের ফ্রি কিকে হেড দেওয়ার চেষ্টা করেন ইউসেফ আমেন। ভারত বাঁচায়। ভারতের গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সাঁধু পড়ে যান। দেখেন বল গোললাইন পেরিয়ে যাচ্ছে। হাশমি হুসেন বল টেনে এনে তা বাড়িয়ে দেন আমেনের দিকে। আমেন ভারতের জালে বল জড়িয়ে দেন।
বল যেহেতু পরিষ্কার গোললাইন পেরিয়ে গিয়েছিল, খেলা থামিয়ে দিয়ে হয় গোলকিক কিংবা কর্নার কিক দেওয়া উচিত ছিল। সেটা নির্ভর করছে কে শেষ বল ধরেছেন তার ওপর। এ ক্ষেত্রে গোলকিপার সাঁধুই সবশেষে বল ধরেছিলেন। তাই ভারতের খেলোয়াড়রা আশা করেছিলেন রেফারি কর্নার কিকের বাঁশি বাজাবেন। তাই তাঁরা কিছুটা হালকাই ছিলেন। কিন্তু কাতার খেলা চালিয়ে গিয়ে গোল করতেই ভারতের খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ করতে শুরু করেন।
ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের দ্বিতীয় রাউন্ডে কোনো ভার-এর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) ব্যবস্থা নেই। সেহেতু রেফারি যে গোল উপহার দিলেন কাতারকে, তা আর পরিবর্তন করা যাবে না।
আরও পড়ুন