Home খেলাধুলো ফুটবল আইএসএল: ফের এগিয়ে থেকে পরাজয়, কেরল ব্লাস্টার্স-এর কাছে হেরে টানা ২টি হার...

আইএসএল: ফের এগিয়ে থেকে পরাজয়, কেরল ব্লাস্টার্স-এর কাছে হেরে টানা ২টি হার ইস্টবেঙ্গলের

0
জয়সূচক গোল করে পেপরার উল্লাস। ছবি ইন্ডিয়ান সুপার লিগ 'এক্স' থেকে নেওয়া।

কেরল ব্লাস্টার্স: ২ (নোয়া সাদাওউই, কোয়ামে পেপরা) ইস্টবেঙ্গল এফসি: ১ (বিষ্ণু পুতিয়া বলাপ্পিল)

কোচি: আবার হতাশ করল ইস্টবেঙ্গল। এবারের আইএসএল-এ পরপর দুটি ম্যাচে হারল কার্লস কুয়াদ্রাতের দল। প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি-র কাছে হারের পর রবিবার তারা হারল কেরল ব্লাস্টার্সের কাছে। আইএসএল-এ এগিয়ে থেকে হেরে যাওয়ার ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গল খুবই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। এই নিয়ে বারোবার এই অঘটন ঘটাল ইস্টবেঙ্গল।  

রবিবার কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল লাল-হলুদ বাহিনী। চার মিনিটের মাথায় ম্যাচে সমতা ফেরায় কেরল ব্লাস্টার্স এবং ম্যাচের একেবারে শেষদিকে তারা জয়সূচক গোলটি করে। কেরলের কাছে ১-২ গোলে হার স্বীকার করল ইস্টবেঙ্গল এফসি।

ম্যাচের পরিসংখ্যান যা বলছে তাতে বলাই যায় কপাল মন্দ ইস্টবেঙ্গলের। বল দখলে রাখার ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গল (৫৩.৬%) এগিয়ে ছিল কেরল ব্লাস্টার্স-এর (৪৬.৪%) চেয়ে। সফল পাস করার ব্যাপারে দুই দলই সমান সমান। গোলে শট নেওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গল যেখানে ৪টি শট নিয়েছে, সেখানে কেরল ব্লাস্টার্স নিয়েছে ২টি শট। কর্নার সমান সমান। দুটি দলই ৩টি করে কর্নার পায়।

ইস্টবেঙ্গলের আপ্রাণ লড়াই। ছবি ইস্টবেঙ্গল এফসি-র ‘এক্স’ থেকে নেওয়া।

প্রথমার্ধে দাপট ইস্টবেঙ্গলের  

এ দিন প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময় দাপট বেশি ছিল লাল-হলুদের। কিন্তু কোনো গোল করতে পারেনি তারা আর প্রতিপক্ষকেও গোল লক্ষ্য করে কোনো শট নিতে দেয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও প্রথম মিনিটপনেরো বেশ আধিপত্য বিস্তার করেই খেলছিল লাল-হলুদ। তারই সূত্র ধরে গোলও পেয়ে যায় ম্যাচের ৫৯ মিনিটে। কিন্তু ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেই কেমন যেন ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যেতে  থাকে তারা। আর তারই ফলশ্রুতিতে ২৫ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল খেয়ে যায় তারা।

দ্বিতীয়ার্ধেই ৩টি গোল

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে মাঝমাঠে কেরল ব্লাস্টার্স-এর সন্দীপ সিংয়ের পা থেকে বল কেড়ে নেন নন্দকুমার। পাস বাড়িয়ে দেন ব্লাস্টার্স-এরই প্রাক্তনী দিয়ামান্তাকোসকে। বল নিয়ে বাঁদিক থেকে ব্লাস্টার্স-এর বক্সে ঢুকে পড়েন গ্রিক ফরোয়ার্ড। ডানদিক থেকে গোলের দিকে দৌড়ে যাওয়া বিষ্ণু পুতিয়া বলাপ্পিলকে ক্রস বাড়িয়ে দেন তিনি। ছ’গজের বক্সে ঢুকে আলতো টোকায় কেরলের জালে বল জড়িয়ে দিতে কোনো ভুল করেননি কেরলেরই এই তরুণ ফরোয়ার্ড। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।

কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের এই এগিয়ে থাকা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। চার মিনিটের মধ্যেই এক অবিশ্বাস্য গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় কেরল ব্লাস্টার্স। নাওচা সিংয়ের বাড়ানো বল নিয়ে বাঁদিকের উইং দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের বক্সে ঢুকে পড়েন নোয়া সাদাওউই। রকিপকে ইনসাইড-আউটসাইড ডজ করে আরও ভিতরে এসে এক দুরূহ কোণ থেকে গোলে যে শট নেন সাদাওউই, তা ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার প্রভসুখন গিলের দু’পায়ের ফাঁক দিয়ে ঢুকে যায়। ম্যাচের ফল দাঁড়ায় ১-১।

সমানে সমানে লড়াই। ছবি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ‘এক্স’ থেকে নেওয়া।

কেরল ব্লাস্টার্স গোল করার মিনিটতিনেক পরেই দিয়ামান্তাকোসকে তুলে নিয়ে ব্রাজিলীয় ফুটবলার ক্লেইটন সিলভাকে নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাত। ক্লেইটন নামায় আক্রমণের গতি বাড়ে, কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হিয়নি। একটু একটু ম্যাচের রাশ চলে যায় কেরল ব্লাস্টার্স-এর কাছে। চাপ বাড়তে থাকে ইস্টবেঙ্গলের উপর।  

শেষ পর্যন্ত এই চাপ সামলাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ। ৮৮ মিনিটের মাথায় ক্রেসপোর উদ্দেশে বাড়ানো আনোয়ারের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে যান কেরল ব্লাস্টার্স-এর মহম্মদ আইমেন। তিনি বক্সের মধ্যে কোয়ামে পেপরাকে বল পাস করেন। কোয়ামে বল পেয়েই বাঁপায়ের শটে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়ে দেন। কেরল ব্লাস্টার্স এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।

ম্যাচের বাকি ৮ মিনিটে (অতিরিক্ত ৬ মিনিট-সহ) কেরল ব্লাস্টার্স ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করলেও কাজের কাজ হয়নি। এই হারের ফলে লিগ তালিকায় ১২ নম্বরে নেমে গেল লাল-হলুদ বাহিনী। কেরল ব্লাস্টার্স উঠে এল ছয়ে।

আরও পড়ুন

আইএসএল: গোয়ার শেষ মুহূর্তের গোলে জয় থেকে বঞ্চিত হল মহমেডান স্পোর্টিং

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version