Home খেলাধুলো ফুটবল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ২২ বছর পর আইএফএ শিল্ড ঘরে তুলল মোহনবাগান

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ২২ বছর পর আইএফএ শিল্ড ঘরে তুলল মোহনবাগান

২২ বছর পর আইএফএ শিল্ড ঘরে তুলল মোহনবাগান

ইস্টবেঙ্গল: ১ (হামিদ) মোহনবাগান: ১ (আপুইয়া)
টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে জয়ী মোহনবাগান।

খবর অনলাইন ডেস্ক: এ বছর ডার্বি ম্যাচে হারের শোধ তুলল মোহনবাগান। আইএফএ শিল্ডের ফাইনাল ছিল চলতি মরশুমের তৃতীয় ডার্বি ম্যাচ। প্রথম দুটি ডার্বি হেরেছিল মোহনবাগান। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচ জিতে নিল তারা।

শনিবার সল্ট লেকের বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল ১-১ ছিল। পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি মোহনবাগান। ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে ছিল তারা। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে মোহনবাগান ৫-৪ গোলে জিতে যায়। ২২ বছর পর আইএফএ শিল্ড ঘরে তুলল সবুজ-মেরুন।
ইস্টবেঙ্গল এই ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করেছে। বেশির ভাগ সময়ে তাদেরই দাপট ছিল বেশি। কিন্তু আসল কাজটি করতে পারল না। শেষ পর্যন্ত মুখে হাসি ফুটল হোসে মোলিনার।

খেলা শুরুর প্রথম কিছুক্ষণ মোহনবাগানের দাপট ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। মিনিট পনেরো কাটতেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে ইস্টবেঙ্গলের। তাদের ফুটবলারেরা নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাস খেলে আক্রমণে উঠে আসছিলেন।

ইতিমধ্যে ম্যাচের ৩৩ মিনিটের মাথায় নিজেদের বক্সের মধ্যে ম্যাকলারেনকে ফাউল করেন ইস্টবেঙ্গলের আনোয়ার আলি। রেফারি পেনাল্টি দেন। কিন্তু পেনাল্টি কিক ইস্টবেঙ্গলের পোস্টের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন জেসন কামিংস। মিনিট দুয়েক পরেই সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল মোহনবাগানকে। বাগানের বক্সের বাইরে বল পান ইস্টবেঙ্গলের মহেশ নাওরেম সিংহ। অনেকটা দৌড়ে বক্সে ঢুকে তিনি ক্রস বাড়ান। ঠিক জায়গায় ছিলেন হামিদ। ক্রস পেয়ে গোল লক্ষ্য করে শট মারেন। বাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ ঝাঁপিয়েও তার নাগাল পাননি। লাল-হলুদ এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।

বিরতির ঠিক আগে ম্যাচে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। সাহাল আব্দুল সামাদ একক দক্ষতায় বক্সে ঢোকেন। তিনি বল বাড়ান কোলাসোর দিকে। বল চলে যায় আপুইয়ার কাছে। তিনি অরক্ষিত অবস্থায় ছিলেন। তাঁর জোরালো শট বারে লেগে গোলে ঢুকে যায়। প্রথমার্ধে ফল দাঁড়ায় ১-১।

দ্বিতীয়ার্ধে দু’পক্ষই গোল করার সুযোগ পায়। কিন্তু ফল অপরিবর্তিত থাকে। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।অতিরিক্ত সময়ে দু’দলের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, দু’পক্ষই যেন টাইব্রেকারেই ম্যাচ জেতার লক্ষ্য নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাই হয়।

টাইব্রেকারে গোলকিপার বদল করে ইস্টবেঙ্গল। প্রভসুখনকে তুলে নিয়ে দেবজিৎ মজুমদারকে নামান লাল-হলুদ কোচ। কিন্তু দেবজিৎ তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে কিছু করতে পারেননি। একটি গোলও বাঁচাতে পারেননি। ৫টি গোল করে মোহনবাগান। অন্য দিকে কাজের কাজটি করেন বিশাল কাইথ। লাল-হলুদের নতুন ডিফেন্ডার জয় গুপ্তের শট বাঁচিয়ে দেন বিশাল। মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন মেহতাব সিংহ। যুবভারতী উল্লাসে ভরিয়ে দেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা।

আরও পড়ুন: অভিমন্যু ৭১ অপরাজিত, শামির ৪ উইকেট রনজি ম্যাচে উত্তরাখণ্ডকে ৮ উইকেটে হারাল বাংলা

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version