এফসি গোয়া ২ (সন্দেশ ঝিংগান, বিক্তোর রোদরিগেজ) ইস্টবেঙ্গল এফসি ১ (নাওরেম মহেশ সিং)
ভুবনেশ্বর: ম্যাচের ৪১ মিনিটে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। কিন্তু সেই এগিয়ে থাকা শেষ পর্যন্ত তারা ধরে রাখতে পারল না। ৭৪ মিনিটে ম্যাচে সমতা এনে পরের মিনিটেই জয়সূচক গোল করল এফসি গোয়া। শেষ পর্যন্ত তারা জিতে গেল ২-১ গোলে।
এ বারের আইএসএল-এ এই নিয়ে টানা তিনটি ম্যাচ জিতে জয়ের হ্যাটট্রিক করল গোয়াও। এর আগে মোহনবাগানও টানা তিনটি ম্যাচ জিতেছে। দুটি দলই তিনে তিন করে ৯টি করে পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। কিন্তু গোল পার্থক্যের বিচারে সবুজ-মেরুন লিগ টেবিলের শীর্ষে রইল, গোয়া থাকল দ্বিতীয় স্থানে। অন্য দিকে ৪টি ম্যাচ খেলে ১টি জিতে এবং ১টি ড্র করে ইস্টবেঙ্গলের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। ১২ দলের লিগে তারা থাকল অষ্টম স্থানে।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচের শুরুতে বলের উপর দখল বেশি ছিল গোয়ারই। ইস্টবেঙ্গল নির্ভর করছিল প্রতি-আক্রমণে। ৭ মিনিটে সিবেরিওকে ফাউল করার জন্য ফ্রি-কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষের গোল থেকে বেশ কিছুটা দূরে। খাবরা গোল লক্ষ্য করে শট নেন। কিন্তু গোয়ার গোলকিপার অর্শদীপ তা পাঞ্চ করে বার করে দেন। ৩ মিনিট পরেই সুযোগ পায় গোয়া। সেরিটন ইস্টবেঙ্গলের বক্সে অরক্ষিত বিক্তোরকে বল দেন। বিক্তোরের শট ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার প্রভসুখন গিল সহজেই তা ধরে ফেলেন।
প্রায় সমানে সমানে খেলা চালিয়ে যায় দুই দল। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোল করার সহজ সুযোগ নষ্ট করে গোয়া। ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ ইস্টবেঙ্গলের গোলের সামনে ক্রস বাড়ান কার্লোস মার্তিনেজকে। কার্লোসের সামনে তখন শুধু গোলকিপার। কিন্তু কার্লোসের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২ মিনিট পরেই ইস্টবেঙ্গলের ক্লাইটনের ভলি গোয়ার ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলই এগিয়ে যায়। ম্যাচের ৪১ মিনিটে নন্দকুমার গোয়ার জয় গুপ্তার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ৪০ গজ দৌড়ে গিয়ে পেয়ে যান নাওরেম মহেশ সিংকে। নাওরেমের শট ডান দিকে উপরের কোণ দিয়ে গোয়ার গোলে ঢুকে যায়। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে থেকে ১-০ গোলে।
২ মিনিটে ২টি গোল গোয়ার
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোয়া আক্রমণে উঠে আসার চেষ্টা করে। ম্যাচের ৫০ মিনিটে ব্র্যান্ডন বাঁ দিক দিয়ে উঠে আসেন। একটি ক্রস বাড়ান। কিন্তু গোয়ার কেউ ধরার আগে ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার গোললাইন ছেড়ে এসে বল ধরে ফেলেন।
গোয়া বার বার আক্রমণে উঠে আসে এবং তার ফল পেয়ে যায় ম্যাচের ৭৪ মিনিটে। ম্যাচে সমতা আসে সন্দেশ ঝিংগানের গোলে। বিক্তোর রোদরিগেজের ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁইয়ে ঝিংগান পরাস্ত করেন অর্শদীপকে। ম্যাচ ১-১ হয়ে যায়।
এবং আশ্চর্যজনক ভাবে পরের মিনিটে আবার গোল পেয়ে যায় গোয়া। দু’ মিনিটে দুটি গোল। আগের গোলে সাহায্য করে এ বার নিজেই গোল করেন বিক্তোর। পাউলো রেত্রের কাছ থেকে পাস পেয়ে কার্লোস মার্তিনেজ বল বাড়িয়ে দেন বক্সে থাকা বিক্তোরকে। প্রভসুখনের পাশ দিয়ে ইস্টবঙ্গলের গোলে বল ঢুকিয়ে দিতে কোনো ভুলচুক করেননি বিক্তোর। গোয়া এগিয়ে যায় ২-১ গোলে। খেলার বাকি ২০ মিনিটের বেশি সময়ে ইস্টবেঙ্গলের আধিপত্য বেশি থাকলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।
আরও পড়ুন
আইএসএল: চেন্নাইয়িন এফসিকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক মোহনবাগানের