Home খেলাধুলো ফুটবল আইএসএল: বুমৌসের গোলে জয় মোহনবাগানের, দুটো লাল কার্ড দেখল বেঙ্গালুরু

আইএসএল: বুমৌসের গোলে জয় মোহনবাগানের, দুটো লাল কার্ড দেখল বেঙ্গালুরু

0
বুমৌসকে জড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ। ছবি আইএসএল-এর ফেসবুক থেকে নেওয়া।

মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট: ১ (হুগো বুমৌস) বেঙ্গালুরু এফসি: ০

কলকাতা: প্রথম ম্যাচে পঞ্জাব এফসিকে সহজেই হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে কষ্টার্জিত জয় পেল মোহনবাগান। বুধবার সল্ট লেকে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত আইএসএল-এর ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ১-০ গোলে হারাল বেঙ্গালুরু এফসিকে। জয়সূচক গোলটি করেন ফরাসি মিডফিল্ডার হুগো বুমৌস।

এ দিনের ম্যাচ ছিল গত আইএসএল-এর চ্যাম্পিয়ন বনাম রানার্স-এর খেলা। সেই খেলারই যেন রিপ্লে হল আজ। বেঙ্গালুরুর রক্ষণভাগ কার্যত অভেদ্য দেওয়াল তুলে রাখায় সবুজ-মেরুন বাহিনীকে গোলের জন্য ম্যাচের ৬৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকতে হয়।

দুটি লাল কার্ড দেখল বেঙ্গালুরু

এদিন দুটি লাল কার্ড দেখে বেঙ্গালুরু এফসি। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মোহনবাগানের পরিবর্ত খেলোয়াড় আরমান্দো সাদিকুকে অবৈধ ভাবে বাধা দেওয়ার জন্য ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা লাল কার্ড দেখেন বেঙ্গালুরুর সুরেশ সিং ওয়াংজাম। এর পর থেকে বেঙ্গালুরুকে দশ জনে খেলতে হয়।

ম্যাচের শেষ সাত মিনিট বেঙ্গালুরুর খেলোয়াড়ের সংখ্যা নয় হয়ে যায়। ম্যাচের ৯১ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে উঠে আসা দিমিত্রি পেত্রাতোসকে বক্সের সামনে স্পষ্টতই ঠেলে ফেলে দেন রওশন সিং। ফলে তাঁকে লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যেতে হয়। অর্থাৎ শেষ সাত মিনিট বেঙ্গালুরুকে ন’জনে খেলতে হয়। তা সত্ত্বেও মোহনবাগান এর ফায়দা তুলতে পারেনি।

আক্রমণে হুগো বুমৌস। ছবি মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট-এর ফেসবুক থেকে নেওয়া।

মোহনবাগান আক্রমণে, বেঙ্গালুরু রক্ষণে

এ দিন মোহনবাগান এসজি-র কোচ খুয়ান ফেরান্দো আক্রমণে শক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। অন্য দিকে বেঙ্গালুরু জোর দেয় রক্ষণে। তারা চার ডিফেন্ডারকে রেখে খেলা শুরু করে এবং খেলা যত গড়ায় ততই রক্ষণে সদস্যসংখ্যা বাড়তে থাকে তাদের। ফলে তারা রক্ষণে দুর্ভেদ্য দেওয়াল তুলে রাখে সব সময়।   

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোহনবগান। সামনে জেসন কামিংস, দিমিত্রি পেত্রাতোস ও তাঁদের পিছনে হুগো বুমৌস, লিস্টন কোলাসো, সহাল সামাদ, মনবীররা গোলের সুযোগ সৃষ্টি করার দায়িত্বে ছিলেন।

ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পায় সবুজ-মেরুন বাহিনী। প্রতি-আক্রমণে উঠে এসে বুমৌস মাঝমাঠের এ পার থেকে বল বাড়ান বাঁ দিকে থাকা কোলাসোকে। কোলাসো উইং দিয়ে বেঙ্গালুরুর বক্সে ঢুকে গোল লক্ষ করে কোণাকুনি শট নিলেও তা অল্পের জন্য গোলের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ২১ মিনিটের মাথায় কামিংস বেঙ্গালুরুর গোল লক্ষ যে শট নেন তা দুর্দান্ত ভাবে রুখে দেন দলের ডিফেন্ডার জোভানোভিচ।

বলের দখলদারিতে বেঙ্গালুরু অনেক পিছিয়ে ছিল এবং মোহনবাগানের তুলনায় বেঙ্গালুরু কম আক্রমণও চালায়। কিন্তু তাদের আক্রমণে ঝাঁঝ অনেক বেশি ছিল। প্রথম ৪৫ মিনিটে তারা মোহনবাগানের গোল লক্ষ করে পাঁচটি শট নিয়েছিল। তার মধ্যে তিনটি ছিল তেকাঠির মধ্যে। রোহিত কুমারের শট গোললাইন সেভ করেন অনিরুদ্ধ থাপা। আর বাকি দুটি বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার বিশাল কায়েথ।

জয়সূচক গোল ৬৮ মিনিটে 

বিরতির পরে মোহনবাগান যথারীতি গোলের সুযোগ তৈরি করে এগিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু বারবার প্রতিপক্ষের দুর্ভেদ্য রক্ষণে আটকে যায়। নাগাড়ে চারটি কর্নার পেয়েও একটিও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। চারটি কর্নারই নেন পেত্রাতোস। ও দিকে বেঙ্গালুরু তাদের স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী মূলত রক্ষণের ওপরই বেশি জোর দিয়ে প্রতি-আক্রমণের অপেক্ষায় থাকে।   

সবুজ-মেরুনের জয়সূচক গোলটি আসে ৬৮ মিনিটে। জোভানোভিচের হেডে ক্লিয়ার হওয়া বল পেয়ে যান কামিংস। তিনি তা বাড়িয়ে দেন বাঁ দিকে থাকা বুমৌসকে। প্রায় ৪৫ ডিগ্রি কোণ থেকে নেওয়া শটে বেঙ্গালুরুর জালে বল জড়িয়ে দেন ফরাসি ফুটবলার। এই গোলের জন্য ম্যাচের সেরা হন হুগো বুমৌস। 

এর পরে ম্যাচে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল লাল কার্ড দেখে বেঙ্গালুরুর দুই ফুটবলারের মাঠের বাইরে চলে যাওয়া। তবে ৯১ মিনিটে বক্সের মধ্যে মোহনবাগানের পেত্রাতোসকে ফেলে না দিলে হয়তো বেঙ্গালুরুকে দ্বিতীয় গোল হজম করতে হত। ৯৭ মিনিটের মাথায় বাঁ দিক দিয়ে উঠে বেঙ্গালুরুর বক্সে ঢুকে পড়ে শট নেন পেত্রাতোস। কিন্তু বল বারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। শেষ মিনিটেও তিনি সাইডনেটে বল মারেন। লক্ষ্যভ্রষ্ট হন সাদিকুও। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় সবুজ-মেরুনকে।

আরও পড়ুন

ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ: হল না হোয়াইটওয়াশ, শেষ ম্যাচে পরাজিত কে এল রাহুলের দল

শুটিংয়ে ভারতের আরেকটি পদক, এশিয়াডে রুপো জিতলেন অনন্তজিত সিং

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version