মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ২ (কামিংস, সামাদ) (৩) ওড়িশা ০ (২)
কলকাতা: কথা রাখলেন আন্তোনিও লোপেজ আবাস। অ্যাওয়ে ম্যাচে ওড়িশার কাছে হেরে যাওয়ার পরে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট-এর (এমবিএসজি) কোচ বলেছিলেন, ঘরের মাঠে তাঁরা জিতবেন। তা-ই হল।
রবিবার কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত আইএসএল-এর প্রথম সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মোহনবাগান ২-০ গোলে হারাল ওড়িশা এফসিকে। ভুবনেশ্বরে আয়োজিত প্রথম লেগের ম্যাচে মোহনবাগান ১-২ গোলে হেরে যায় ওড়িশার কাছে। ফলে সামগ্রিক ভাবে ওড়িশাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে মোহনবাগান পৌঁছে গেল ফাইনালে। এ দিন মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন জেসন কামিংস এবং সহল আবদুল সামাদ।
ফাইনালে মোহনবাগান মুখোমুখি হবে মুম্বই এফসি বনাম এফসি গোয়া ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে। ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৪ এপ্রিল শনিবার, কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে, যেহেতু এটিই হল লিগে সর্বোচ্চ স্থানে থাকা মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের ঘরের মাঠ।
এ দিনের জয়ের মুখ্য কারিগর স্পেনীয় কোচ আন্তোনিও লোপেজ আবাস। এবারের আইএসএল-এ তারকাসমৃদ্ধ মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে সঙ্ঘবদ্ধ দল হিসাবে খেলার ছন্দে নিয়ে আসেন আবাসই। তাই ১৯ এপ্রিল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ১-২ গোলে হেরে যাওয়ার পরেও আবাস দৃঢ়প্রত্যয়ী হয়ে বলতে পেরেছিলেন ঘরের ম্যাচে তাঁরা জিতবেন।
মোহনবাগানের দু’ গোল
রবিবারের ম্যাচে আগাগোড়াই আক্রমণাত্মক ছিল মোহনবাগান। ম্যাচের ২২ মিনিটে গোল করে নিজের দলকে এগিয়ে দেন জেসন কামিংস। তবে তাঁর গোলের ক্ষেত্রটি প্রস্তুত করে দেন তাঁর সহযোগী স্ট্রাইকার দিমিত্রি পেত্রাতোস। ওড়িশার বক্সের বাইরে থেকে গোল লক্ষ্য করে শট নেন। ওড়িশার গোলকিপার অমরিন্দর সিং তা বাঁচিয়ে দেন কিন্তু বল চলে যায় বক্সে ওত পেতে থাকা কামিংসের কাছে। ফাঁকা গোলে বল ঢুকিয়ে দিতে তিনি কোনো ভুলচুক করেননি।
মিনিটতিনেক পরে ওড়িশার রয় কৃষ্ণ একার চেষ্টায় মোহনবাগানের বক্সে চলে এসেছিলেন। কিন্তু মোহনবাগানের রক্ষণভাগ কৃষ্ণের চেষ্টা বানচাল করে দেয়। এর পর ঘরের দল বারবার হানা দেয় ওড়িশার রক্ষণভাগে। কিন্তু জয় ছিনিয়ে নেওয়ার মতো কাজের কাজ কিছু করতে পারেনি।
শেষ পর্যন্ত জয় আসে অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে। মনবীর সিং বাঁ দিক থেকে দ্রুত উঠে এসে সহল আবদুল সামাদকে লক্ষ্য করে নিচু ক্রস বাড়ান। কেরল ব্লাস্টার্স-এর প্রাক্তন এই খেলোয়াড় প্রথম চেষ্টায় বল ধরতে পারেননি। অমরিন্দর তাঁদের প্রচেষ্টায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বল সহলের মাথায় লেগে ওড়িশার গোলে ঢুকে যায়। কাঙ্ক্ষিত জয় পেয়ে যায় মোহনবাগান।
আরও পড়ুন