মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট: ৩ (জেমি ম্যাকলারেন ২, লিস্টন কোলাসো) পঞ্জাব এফসি:০
কলকাতা: প্রথমার্ধে আটকে রেখেছিল পঞ্জাব এফসি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে হাল ছেড়ে দিল তারা। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের আক্রমণের কাছে আত্মসমর্পণ করল পঞ্জাব। জেমি ম্যাকলারেনের জোড়া গোল ও লিস্টন কোলাসোর গোলে বাজিমাত করল সবুজ-মেরুন বাহিনী।
এ বারের আইএসএল-এ ২০টি ম্যাচ খেলে ১৪টি জয় পেল মোহনবাগান। এবং এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্লে অফে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলল তারা। আপাতত মোহনবাগানের ঝুলিতে রয়েছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি রয়েছে তাদের ৪টি ম্যাচ। এই চার ম্যাচ থেকে সাত পয়েন্ট পেলেই শিল্ড ঘরে তুলবে মোহনবাগান। তবে অঙ্ক বলছে, জামশেদপুর এফসি আর এফসি গোয়া যদি তাদের পরের দুই ম্যাচ হেরে যায়, তা হলে শুভাশিসদের হাতে আগেই শিল্ড উঠে যেতে পারে।
এ দিন আর একটি পালক জুড়ল মোহনবাগানের মুকুটে। ঘরের মাঠে টানা ন’টি ম্যাচ জিতে আইএসএল ইতিহাসে এফসি গোয়ার গড়া নজির ছুঁয়ে ফেলল মোহনবাগান।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য
বুধবার কলকাতার সল্ট লেকের বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত ম্যাচে পঞ্জাব এফসি প্রথমার্ধে মোহনবাগানের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের কড়া পাহারায় রেখেছিল। তবে শুধু ওইটুকুই। তাদের আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়রা সবুজ-মেরুনের রক্ষণভাগে এতটুকু ছুঁচ ফোটাতে পারেনি। বাংলার দীপেন্দু বিশ্বাসের এ দিনের পারফমরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। শুধু রক্ষণে থেকে দলকে বাঁচানোই নয়, গোল করাতেও অ্যাসিস্ট করেছেন দীপেন্দু। পঞ্জাবকে এ দিন দু’টির বেশি শট গোলে রাখতে দেয়নি মোহনবাগানের রক্ষণ।

জয়ের পরে মোহনবাগানের খেলোয়াড়দের উল্লাস।
৩টি গোলই এল দ্বিতীয়ার্ধে
প্রথমার্ধে মোহনবাগানকে ঠেকিয়ে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে গা ছেড়ে দেয় পঞ্জাব। আর সেই সুযোগে ম্যাচের ৫৬, ৬৩ এবং ৯০ মিনিটে গোল করে মোহনবাগান। প্রথম গোলটি আসে ম্যাকলারেনের পা থেকে। দ্বিতীয়টির গোলদাতা কোলাসো। এবনহ নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে আর একটি গোল করে নিজেদের জয় সম্পন্ন করেন ম্যাকলারেন।
দ্বিতীয়ার্ধে অবিরাম আক্রমণ চালানোর ফল মেলে ৫৬ মিনিটে। ডান দিক থেকে মাপা ক্রস হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন ওভারল্যাপে ওঠা দীপেন্দু। গোলের উল্টো দিকে মুখ করে ডান পা দিয়ে সেই বল নামিয়ে নেন ম্যাকলারেন এবং তার পর গোলের দিকে ঘুরে গিয়ে গোলকিপারের ডান দিক দিয়ে বল প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়ে দেন। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
দ্বিতীয় গোল আসে ঠিক ৭ মিনিট পরে। ৬৩ মিনিটের মাথায় বক্সের বাঁ দিক থেকে কোনাকুনি শট নেন কোলাসো। সেই শট আটকাতে পারেননি পাঞ্জাবের গোলকিপার। মোহনবাগান এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।
জয়কে আরও পাকাপোক্ত করতে ঠিক ৯০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোল করেন ম্যাকলারেন। পঞ্জাবের গোলকিপার রবি কুমার বক্সের মাথায় যে পাস দেন, তা ছিনিয়ে নিয়ে ম্যাকলারেনের কাছে পাঠিয়ে দেন কামিংস। ম্যাকলারেন এই পাস থেকে গোল করতে কোনো ভুলচুক করেননি।
ছবি: সঞ্জয় হাজরা