গুজরাত টাইটান্স: ২০৭/৬ (শুভমন ৫৬, মিলা ৪৬, অভিনব ৪২, পীযূষ ৩৪/২, অর্জুন ৯/১, জেসন ৩৭/১)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৫২/৯ (নেহাল ৪০, গ্রিন ৩৩, সূর্যকুমার ২২, নূর ৩৭/৩, রাশিদ ২৭/২, মোহিত ৩৮/২)
রোহিত শর্মাদের বিরুদ্ধে বড়ো ব্যবধানে জিতল হার্দিক পাণ্ড্যের দল। মঙ্গলবার আইপিএল-এর ৩৪তম ম্যাচে গুজরাত টাইটান্স ৫৫ রানে হারিয়ে দিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এই জয়ের মধ্যে দিয়েই আইপিএল ২০২৩-এ নিজেদের পঞ্চম জয় নথিভুক্ত করল গুজরাত টাইটান্স। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ব্যাটিং এবং বোলিং- উভয় ক্ষেত্রের সামঞ্জস্য গুজরাতের জয়ের রাস্তা মসৃণ করে তুলেছে। ব্যাটসম্যানরা সঠিক সময়ে এগিয়ে এসে শেষ পাঁচ ওভারে যেমন ৭৭ রান করেছেন, তেমনই অন্য দিকে, আফগানিস্তানের স্পিনারদ্বয় রশিদ খান এবং নূর অহমেদ বল হাতে মুম্বইকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে যথেষ্ট ভূমিকা নিয়েছে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০৭-৬ রান তুলে নিয়ে গুজরাত। মুম্বইয়ের ইনিংস শেষ হয় ১৫২-৯ স্কোরে।
প্রথমেই অর্জুন তেন্ডুলকরের বলে ঋদ্ধিমান সাহাকে (৪) হারায় টাইটান্স। লেগসাইডে ক্যাচ দিয়েছিলেন। নিজের প্রথম বলেই হার্দিক পাণ্ড্যকে (১৩) আউট করেন পীযূষ চাওলাকে। তবে শুভমন গিল (৫৬) কিছু দেখার মতো স্ট্রোক খেলে সিজনের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি করেন। ইনিংসের আসল প্রেরণা জুগিয়েছেন অভিনব মনোহর এবং ডেভিড মিলার। এই জুটি ছয় ওভারেরও কম সময়ে ৭১ রান যোগ করে। অভিনব ২১ বলে ৪২ রান করেন এবং অভিজ্ঞ মিলার ২২ বলে ৪৬ রান করেন। রাহুল তেওিটিয়া (২০) প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে আরেকটা ঝড়ো ইনিংস খেলেন।
২০০-র উপর রানের পাহাড় মাথায় নিয়ে মুম্বইয়ের ইনিংস শুরু করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান রোহিত শর্মা (২)। হার্দিক পাণ্ড্যের বলের গতি বুঝতে পারেননি। তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে বল আকাশে উঠে যায়। ক্যাচ ধরেন হার্দিকই। সেখান থেকে ক্যামেরন গ্রিন (৩৩) এবং ঈশান কিশন (১৩) হাল ধরেছিলেন। গ্রিনের মারকুটে ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে দ্রুত রানও উঠছিল। কিন্তু তাল মেলাতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন ঈশান। রশিদের বলে তাঁর ক্যাচ ধরেন লিটল। একই ওভারে দুরন্ত বলে রশিদ ফিরিয়ে দেন তিলক বর্মাকে (২)। তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। তার মাঝেই নুর আহমেদের বল বুঝতে না পেরে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন গ্রিন। সেই ওভারেই ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন টিম ডেভিড (০)। সূর্যকুমার যাদব (২৩), নেহাল ওয়াধেরা (৪০) এবং পীযূষ চাওলা (১৮) লড়াই করলেন ঠিকই, কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছানোর অনেক আগেই থামতে হল মুম্বইকে।