উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে জয়নগরের এক নাবালিকাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে হরিয়ানা থেকে ধৃত এক যুবক।
প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে এক নাবালিকাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত গোবিন্দপুর গ্রামে। নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে হরিয়ানার পানিপথের এক যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে জয়নগর থানা এলাকার ওই নাবালিকার।
এর পর দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে কথোপকথনের পর গত এপ্রিলের ২ তারিখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ওই নাবালিকা। তাঁর পরে ওই নাবালিকার পরিবার জয়নগর থানাতে ৩ এপ্রিল একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জয়নগর থানার আইসি রাকেশ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে জয়নগর থানার তদন্তকারী পুলিশ। ওই নাবালিকাকে উদ্ধারের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। নাবালিকার আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে অবশেষে সন্ধান মেলে হরিয়ানার মদন কুমার নামে ওই যুবকের।
হরিয়ানার ওই যুবকের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ধরে অবশেষে দিল্লি থেকে নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করে জয়নগর থানার পুলিশ। এর পাশাপাশি নাবালিকাকে অপহরণ করার অভিযোগে হরিয়ানার মদনকুমার নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে জয়নগর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ওই যুবককে দিল্লির একটি আদালতে পেশ করে জয়নগর থানার পুলিশ। আর সেই আদালত থেকে তিন দিনের ট্রানজিস্ট রিমান্ডে নিয়ে মঙ্গলবার বারুইপুর মহকুমার আদালতে অভিযুক্ত ওই যুবককে পেশ করে জয়নগর থানার পুলিশ।
অভিযুক্ত ওই যুবকের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে অপহরণ করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা যায় ওই যুবক এর আগে চারটি বিবাহ করেছিল। এ দিন বারুইপুর মহকুমা আদালতে ধৃতকে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এ দিকে উদ্ধার হওয়া নাবালিকাকে হোমে পাঠায় জয়নগর থানার পুলিশ। নাবালিকার বাবা সুশান্ত সাপুই জানান, “ফেসবুকের মাধ্যমে কয়েকদিন আগেই আমার মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় হরিয়ানার পানিপথের ওই যুবকের। নিজের নাম মদন কুমার বলে দাবি করে। এরপর প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে আমার মেয়েকে হরিয়ানায় নিয়ে চলে যায় ওই যুবক। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমার মেয়ের সন্ধান পায়নি। এর পর ৩ এপ্রিল জয়নগর থানাতে একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করি। জয়নগর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে হরিয়ানা থেকে অভিযুক্ত যুবক ও দিল্লি থেকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে। আমার মনে হয় যে ওই যুবক আমার মেয়েকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে গিয়েছিল। জয়নগর থানার পুলিশকে অসংখ্য ধন্যবাদ তাদের সহযোগিতায় আমার মেয়েকে আমি ফেরত পেয়েছি”।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় নামল পারদ, সপ্তাহের শেষ দিকেও ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা