কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর): ২৩৫-৬ (সুনীল নারিন ৮১, ফিল সল্ট ৩২, নবীন উল হক ৩-৪৯)
লখনউ সুপার জায়েন্টস (এলএসজি): ১৩৭ (১৬.১ ওভার) (মার্কাস স্টয়নিস ৩৬, হরষিত রানা ৩-২৪, বরুণ চক্রবর্তী ৩-৩০)
লখনউ: কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) দুই ওপেনার যদি হাত খুলে মারতে থাকেন, তখন দলটা প্রতিপক্ষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। রবিবারও তাই ঘটল। কেকেআর-এর দ্বিতীয় উইকেট যখন পড়ল তখন তাদের ইনিংস মাত্র ১২ ওভার গড়িয়েছে। ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে রান উঠে গিয়েছে ১৪০। এর মধ্যে দুই ওপেনার সুনীল নারিন আর ফিল সল্টেরই অবদান ১১৩। শেষ পর্যন্ত কেকেআর শেষ করল ৬ উইকেটে ২৩৫-এ।
জয়ের জন্য ২৩৬ রান তাড়া করতে গিয়ে নিজেদের ঘরের মাঠে হিমশিম খেল লখনউ সুপার জায়েন্টস (এলএসজি)। নির্ধারিত ২০ ওভারের ৩.৫ ওভার বাকি থাকতেই গুটিয়ে গেল তারা। কলকাতার বোলারদের বিশেষ করে হরষিত রানা আর বরুণ চক্রবর্তীর মোকাবিলাই করতে পারল না তারা। ইনিংস শেষ করল মাত্র ১৩৫ রানে। ফলে কলকাতার কাছে লখনউ হেরে গেল ৯৮ রানে। ৩৯ বলে ৮১ রান করে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন সুনীল নারিন। বিধংসী নারিনের ব্যাট থেকে এল ৭টা ছয় আর ৬টা চার। নারিন লখনউয়ের ১টি উইকেটও দখল করেন।
কলকাতার ইনিংস তৈরি করে দিলেন সল্ট, নারিন
রবিবার লখনউয়ে ভারত রত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত টসে জিতে কেকেআর-কে ব্যাট করতে পাঠায় এলএসজি। এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেন দুই ওপেনিং ব্যাটার ফিল সল্ট এবং সুনীল নারিন। দু’ জনে মারকাটারি ব্যাট চালাতে থাকেন। প্রথম উইকেটে মাত্র ৪.২ ওভারে ওঠে ৬১ রান। ১৪ বলে ৩২ রান করে নবীন উল হকের বলে উইকেটকিপার কে এল রাহুলকে ক্যাচ দিয়ে সল্ট প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও কেকেআর-এর রান ওঠার গতি খুব একটা কমেনি। তাঁর শূন্যস্থান পূরণ করেন অঙ্গকৃশ রঘুবংশী।
নারিন-রঘুবংশী জুটি দলের স্কোর নিয়ে যান ১৪০-এ। রবি বিশনয়ের বলে পরিবর্ত খেলোয়াড়কে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান নারিন। এর পর অঙ্গকৃশ রঘুবংশী, আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিং, অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এবং রমণদীপ সিং, সবাই কিছু না কিছু রান করায় কেকেআর-এর রান নির্ধারিত ২০ ওভারে পৌঁছে যায় ২৩৫-এ। লখনউয়ের সবচেয়ে সফল বোলার নবীন উল হক। তিনি ৪৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন।
লখনউয়ের শেষ ৮ উইকেটে ৬৭ রান
জয়ের জন্য লখনউয়ের দরকার ছিল ২৩৬ রান। প্রথম দু’ উইকেটে ওঠে ৭০ রান, ৭.৩ ওভারে। অশ্বিন কুলকার্নি ৭ বলে ৯ রান করে আউট হন। এলএসজি-র প্রথম উইকেট পড়েছিল ২০ রানে। কুলকার্নি মিশেল স্টার্কের বলে রমণদীপকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। অধিনায়ক কেএল রাহুলের সঙ্গী হন মার্কাস স্টয়নিস।
দলের ৭০ রানে রাহুল (২১ বলে ২৫ রান) আউট হয়ে গেলেও, তখনও কেউ ভাবতে পারেননি এত তাড়াতাড়ি গুটিয়ে যাবে এলএসজি। কিন্তু বিধি বাম। মার্কাস স্টয়নিস (২১ বলে ৩৬) ছাড়া দলের আর কোনো ব্যাটার কেকেআর-এর বোলারদের বিরুদ্ধে হাত খুলতে তো পারলেনই না, বরং দ্রুত প্যাভিলিয়নে আশ্রয় নিলেন। লখনউয়ের শেষ ৮ উইকেটে উঠল মাত্র ৬৭ রান। মাত্র ১৩৭ রানে ইনিংস শেষ হয়ে গেল লখনউয়ের। হাতে তখনও ২৩টা বল ছিল। কলকাতার হরষিত রানা ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট, বরুণ চক্রবর্তী ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট, আন্দ্রে রাসেল ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট এবং মিশেল স্টার্ক ও সুনীল নারিন দু’ জনেই ২২টি করে রান দিয়ে ১টি করে উইকেট দখল করেন।