Home প্রযুক্তি মাত্র ৬০০ টাকা খরচ করে তিন ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন কলকাতা থেকে চেন্নাই!...

মাত্র ৬০০ টাকা খরচ করে তিন ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন কলকাতা থেকে চেন্নাই! কী ভাবে?  

0

কাজেকর্মে হোক কিংবা পড়াশোনা বা নির্ভেজাল বেড়ানো, বহু বাঙালি চেন্নাই যান। ট্রেনেই লোকে যাতায়াত করেন বেশি। বিমানেও কেউ কেউ যান, তবে যাতায়াতের খরচ বেশ বেশি। এই পরিস্থিতিতে এ বার খুব কম সময়ের মধ্যে, কম খরচে কলকাতা থেকে যাওয়া যাবে চেন্নাই। কেন না, অভিনব ইলেকট্রিক ফ্লাইং বোট এনেছে আইআইটি মাদ্রাজের (IIT-M) একটি স্টার্টআপ সংস্থা। কলকাতা থেকে চেন্নাই যাতায়াতে সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা, খরচ পড়বে ৬০০ টাকা, যা এসি থ্রি-টায়ার ট্রেনের টিকিটের চেয়েও সস্তা।

সম্প্রতি আইআইটি মাদ্রাজের ইনকিউবেটেড স্টার্টআপ ওয়াটারফ্লাই টেকনোলজিস একটি উইং-ইন-গ্রাউন্ড (ডব্লিউআইজি) ক্রাফট তৈরি করছে, যা ইলেকট্রিক সিগ্লাইডার নামে পরিচিত। তাদের দাবি, এটি শিগগিরই উপকূলবর্তী অঞ্চলে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহন করার জন্য ব্যবহার করা হবে। বেঙ্গালুরুতে অ্যারো ইন্ডিয়া অনুষ্ঠানে, ওয়াটারফ্লাই টেকনোলজিস এই বোটের একটি নকশা প্রদর্শন করে। স্টার্টআপের দাবি, শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে তার একটি প্রোটোটাইপ। বিমান ভ্রমণ বা ফেরির তুলনায় সস্তা ও টেকসই হবে বলেও দাবি করা হয়েছে।

ওয়াটারফ্লাই টেকনোলজিসের সিইও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা হরিশ রাজেশ সংবাদমাধ্যমকে জানান, “ডব্লিউআইজি (WIG) ক্রাফটের মাধ্যমে কলকাতা থেকে চেন্নাই ভ্রমণে ১,৬০০ কিলোমিটার যাত্রার জন্য প্রতি আসনে মাত্র ৬০০ টাকা খরচ হবে, যা একটি এসি থ্রি-টায়ার ট্রেনের টিকিটের চেয়ে অনেক সস্তা। এসি থ্রি-টায়ার ট্রেনে খরচ ১,৫০০ টাকারও বেশি। প্রোটোটাইপে আমরা যে নকশা তৈরি করেছি, সেই একই নকশা থাকবে। চার টন ওজন নিতে পারবে। এপ্রিলের মধ্যে, ১০০ কেজির একটি প্রোটোটাইপ আনা হবে। বছরের শেষ নাগাদ, আমরা এক টন ওজন নিতে পারবে এমন একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করার পরিকল্পনা করছি।”

হরিশ রাজেশ আরও জানান, “আগামী বছরের মধ্যে চার টন পেলোড এবং ২০ আসন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ তৈরি করা হবে। এই ফ্লাইং বোট জল থেকে প্রায় চার মিটার উচ্চতায় উড়বে এবং পুরো যাত্রা জুড়ে একই উচ্চতা বজায় রাখবে। ৫০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার সর্বোচ্চ গতি থাকবে। সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক সিগ্লাইডারটি, একটি বিমানের গতি, আরাম এবং নেভিগেশনের সাথে একটি নৌকার চালচলন এবং সাশ্রয়ী মূল্যের সমন্বয় ঘটাবে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে, এই বৈদ্যুতিক সিগ্লাইডারটি জলের যে কোনও জায়গায় অবতরণ করতে পারে।”

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version