বেঙ্গালুরুতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ স্কাইডেক নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে কর্ণাটক সরকার। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রকল্পটির জন্য ₹৫০০ কোটি ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। বেঙ্গালুরুর পরিকাঠামোকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নির্মিত হতে চলেছে এই স্কাইডেক, যা থেকে শহরের ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য উপভোগ করা যাবে।
এই স্কাইডেকের উচ্চতা হবে প্রায় ২৫০ মিটার, যা দিল্লির কুতুব মিনারের (৭৩ মিটার) চেয়ে তিন গুণেরও বেশি উঁচু। তুলনামূলকভাবে, বেঙ্গালুরুর সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং হিসেবে বিবেচিত CNTC প্রেসিডেন্সিয়াল টাওয়ারের উচ্চতা প্রায় ১৬০ মিটার। এই প্রকল্পটি কার্যকরী হলে বেঙ্গালুরু শুধু ভারতের নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম উঁচু কাঠামো পাবে।
কর্ণাটকের আইন, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী এইচ কে পাটিল জানিয়েছেন, “বেঙ্গালুরুতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ স্কাইডেক নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি ₹৫০০ কোটি ব্যয়ে নির্মিত হবে, যা ভারতীয় প্রযুক্তি রাজধানীর ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ প্রদান করবে।”
এই স্কাইডেকটি বেঙ্গালুরুর বাইরের NICE রোডে নির্মিত হবে। এর সঙ্গে পর্যটকদের সুবিধার্থে মেট্রো রেলের সংযুক্তির পরিকল্পনাও করা হয়েছে, যাতে পর্যটকরা সহজেই এখানে পৌঁছাতে পারেন। এছাড়াও, স্কাইডেকের অভ্যন্তরে বিশ্বমানের সুবিধাদি থাকবে যা পর্যটকদের আরও আকর্ষিত করবে।
প্রথমে এই স্কাইডেকটি বেঙ্গালুরুর মধ্যভাগে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তবে কিছু বাধার সম্মুখীন হওয়ার কারণে স্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শহরের কেন্দ্রে ২৫ একর জমি পাওয়া কঠিন ছিল এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতির কারণে এত উঁচু কাঠামোর নির্মাণ নিয়ে আপত্তি ওঠে। এই কারণেই NICE রোড এলাকাকে চূড়ান্তভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এই স্কাইডেকের অভ্যন্তরে একটি অত্যাধুনিক শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আরও কী কী সুবিধা দেওয়া হবে তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বেঙ্গালুরুতে পর্যটকদের জন্য নতুন আকর্ষণ সৃষ্টি হবে এবং শহরের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপরও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।