Homeখবরদেশকর ফাঁকির অভিযোগ! বিবিসি-র দিল্লি, মুম্বই অফিসে আয়কর হানা

কর ফাঁকির অভিযোগ! বিবিসি-র দিল্লি, মুম্বই অফিসে আয়কর হানা

প্রকাশিত

নয়াদিল্লি: ভারতে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন বা বিবিসি-র (BBC) অফিসে তল্লাশি। বিবিসি-র দিল্লি ও মুম্বই অফিসে একযোগে তল্লাশি চলছে মঙ্গলবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিষয়ে বিবিসি-র তৈরি দুই এপিসোডের ডকুমেন্টারি সিরিজ নিয়ে বিতর্কের মধ্য়েই এই পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা।

বিবিসি-র তরফে জানানো হয়েছে, তারা তদন্তকারীদের সঙ্গে “সম্পূর্ণ সহযোগিতা” করছে। একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা আশা করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পরিস্থিতির সমাধান হবে।”

জানা গিয়েছে, ১০ থেকে ১২ জনের দল এই অভিযান চালাচ্ছে। সকাল ১১ নাগাদ বিবিসি-র দুটি অফিসে আয়কর আধিকারিকদের তল্লাশি শুরু হয় বলে খবর। আয়কর দফতর জানিয়েছে, আয়কর সমীক্ষার কাজ চলছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দফতরে মজুত কর্মচারীদের ফোন বাজেয়াপ্ত করে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

২০২২ সালে গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তৈরি হয়েছিল বিবিসি-র তথ্যচিত্র। ওই সময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদী। আগেই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক, বিবিসি ডকুমেন্টারি সিরিজটিকে “প্রোপাগান্ডার অংশ” বলে সমালোচনা করেছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছিলেন, এই তথ্যচিত্রটি বস্তুনিষ্ঠ নয় এবং এর মধ্যে ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন রয়েছে।

গত ২০ জানুয়ারী ইউটিউব এবং টুইটারে ডকুমেন্টারি শেয়ার করার লিঙ্কগুলি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ন করছে” ওই তথ্যচিত্র। অন্য দেশের সঙ্গে “বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে”বলে তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। বিবিসি-র তৈরি তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলাও হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রের উদ্দেশে নোটিশ জারি করেছে সর্বোচ্চ আদালত।

প্রসঙ্গত, ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নামে বিবিসি তথ্যচিত্র নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বিবিসি-র ওই তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একদিকে যেখানে জেএনইউ-তে এই ডকুমেন্টারি দেখানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল, সেখানে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হওয়ার পর দায়ের হয়েছে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: ‘দেশ সেই বীর নায়কদের স্মরণ করে’, পুলওয়ামা হামলায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রী মোদীর

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ

১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখায় কেন্দ্রকে তীব্র ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। ফলে চার বছর পর রাজ্যে ফের শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ, মজুরি মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে।

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

বুথভিত্তিক তুলনায় মিল মাত্র ৫৫%! এসআইআরে নাম কাটা যেতে পারে প্রায় ১ কোটি ভোটারের

২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার মিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। এসআইআরের পর প্রায় ১ কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনের। জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আরও পড়ুন

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ

১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখায় কেন্দ্রকে তীব্র ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। ফলে চার বছর পর রাজ্যে ফের শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ, মজুরি মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে।

নেলি হত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট প্রকাশের সিদ্ধান্তে বিতর্ক: চার দশক পর নতুন করে উদ্বেগ ও আশঙ্কা

অরূপ চক্রবর্তী, গুয়াহাটি: অসম সরকার ১৯৮৩ সালের ভয়াবহ নেলি গণহত্যার তিওয়ারি কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের...