Homeখবররাজ্যপুজোর আবহাওয়া: নবমী পর্যন্ত রোদ ঝলমলে, বঙ্গোপসাগরের ওপরে নির্ভর করছে দশমী

পুজোর আবহাওয়া: নবমী পর্যন্ত রোদ ঝলমলে, বঙ্গোপসাগরের ওপরে নির্ভর করছে দশমী

প্রকাশিত

খবর অনলাইনডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গের ওপর থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে বেশ কয়েক দিন হয়ে গিয়েছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকেও বিদায় নেবে সে। এই সুযোগে ধীরে ধীরে শুষ্ক উত্তুরে হাওয়া ঢুকে পড়ছে রাজ্যের বায়ুমণ্ডলে। দিনের বেলাটা গরম লাগলেও রাত এবং ভোরের দিকে হালকা শিরশিরানি ব্যাপার একটা অনুভূত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে অনেকেরই প্রশ্ন যে পুজোয় আবহাওয়া কেমন থাকতে চলেছে। উল্লেখ্য, বৃষ্টিহীন পুজো সে ভাবে দেখা যায় না। রেকর্ড বই বলে ২০০০ সালের পর, অর্থাৎ গত ২৩ বছরের মধ্যে শুধুমাত্র ২০০৪, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ এবং ২০১৮ সালের পুজোয় বৃষ্টি হয়নি। বাকি সব বছরেই বৃষ্টি হয়েছে।

তবে কলকাতা এবং রাজ্যের মানুষ শুনলে খুশিই হবেন যে এ বার পুজোটা প্রায় পুরোটাই বৃষ্টিহীন থাকতে চলেছে। যে হেতু মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে এবং রাজ্যের বায়ুমণ্ডলে এই মুহূর্তে বৃষ্টি নামানোর মতো কোনো অনুঘটক নেই, সেই কারণে অন্তত নবমী পর্যন্ত রোদ ঝলমলে আবহাওয়াই পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। দিনের বেলায় তাপমাত্রা বত্রিশ-তেত্রিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে। ভোরের দিকে তাপমাত্রা নেমে আসতে পারে কুড়ি ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

এমনিতেই রোদ ঝলমলে আবহাওয়ায় প্যান্ডেল-হপিং শুরু করে দিয়েছেন মানুষজন। মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় উপচে পড়ছে। এমন আবহাওয়াই থাকবে অন্তত নবমী পর্যন্ত।

কিন্তু দশমীতে আবহাওয়া কী রকম থাকবে, সেটা নির্ভর করছে বঙ্গোপসাগরের ওপরে। আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন মডেল অনুযায়ী এটা অনুমান করা হচ্ছে যে ২০ তারিখ নাগাদ আন্দামান সাগর লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। আপাতত মনে হচ্ছে সেটি শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপ কিংবা সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে।

সেটি কোন দিকে অগ্রসর হবে, সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তার ওপরেই দশমীর আবহাওয়া নির্ভর করছে। আপাতত নিম্নচাপটির ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি নিয়ে নানা মুনির নানা মত। একটি মডেল অনুযায়ী সেটি তামিলনাড়ু-অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে যাবে। আবার অন্য একটি মডেল বলছে সেটি অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি গিয়ে তার পর ভারতের পূর্ব উপকূলের পাড় বরাবর এগোবে। ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করছে।

ওই নিম্নচাপ যদি পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি অবস্থান করে তা হলে দশমীর দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে যথেষ্টই। এতে পুজোর শেষ দিনের প্যান্ডেল-হপিং এবং প্রতিমা নিরাঞ্জনে প্রভাব পড়তে পারে।

আরও পড়ুন

পার্বত্য রাজ্যে তুষারপাত, সমতলে বৃষ্টি! বাংলাতেও শীতের আগমনী বার্তা

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

বর্ষার বিদায় নিলেও সপ্তাহান্তে ফের ভোল বদলাতে পারে আবহাওয়া

বঙ্গ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় নিল বর্ষা। শুরু শীতের অপেক্ষা। তবে সপ্তাহান্তে ফের পরিবর্তন আসতে পারে আবহাওয়ায়, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে ছয় জেলায়।

মোবাইল নম্বর নয়, এবার ইউজারনেম দিয়েই চ্যাট করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপে! আসছে ইনস্টাগ্রাম-স্টাইল ফিচার

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে ইনস্টাগ্রাম-স্টাইল ইউজারনেম ফিচার। মোবাইল নম্বর শেয়ার না করেই চ্যাট করা যাবে। নতুন এই ফিচার দেখা গেছে হোয়াটসঅ্যাপের বিটা ভার্সন ২.২৫.২৮.১২ তে। ইউজারনেম সেট করতে থাকবে কিছু নিয়মও।

সতর্ক থাকুন! পেঁপের সঙ্গে এই খাবারগুলো খেলেই বাড়বে বিপদ

ভিটামিন ও ফাইবারে ভরপুর পেঁপে যতটা উপকারী, ভুল খাবারের সঙ্গে খেলে ততটাই ক্ষতিকর। কমলালেবু, শশা, টমেটো, দই বা মধুর সঙ্গে পেঁপে খাওয়া হজমে সমস্যা, অ্যাসিডিটি ও অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

রাজ্যে শুরু টোটোর রেজিস্ট্রেশন, প্রথম দুই দিনে মাত্র ৯৫০ গাড়ি নথিভুক্ত ! দীপাবলির পর বাড়বে সাড়া আশা পরিবহণ দফতরের

রাজ্যে ব্যাটারি চালিত টোটো ও ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। প্রথম দুই দিনে মাত্র ৯৫০টি গাড়ি নথিভুক্ত হয়েছে। পরিবহণ দফতর আশা করছে দীপাবলির পর এই সংখ্যা দ্রুত বাড়বে। রাজ্যে আনুমানিক টোটোর সংখ্যা ১০ লক্ষেরও বেশি।

আরও পড়ুন

বর্ষার বিদায় নিলেও সপ্তাহান্তে ফের ভোল বদলাতে পারে আবহাওয়া

বঙ্গ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় নিল বর্ষা। শুরু শীতের অপেক্ষা। তবে সপ্তাহান্তে ফের পরিবর্তন আসতে পারে আবহাওয়ায়, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে ছয় জেলায়।

রাজ্যে শুরু টোটোর রেজিস্ট্রেশন, প্রথম দুই দিনে মাত্র ৯৫০ গাড়ি নথিভুক্ত ! দীপাবলির পর বাড়বে সাড়া আশা পরিবহণ দফতরের

রাজ্যে ব্যাটারি চালিত টোটো ও ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। প্রথম দুই দিনে মাত্র ৯৫০টি গাড়ি নথিভুক্ত হয়েছে। পরিবহণ দফতর আশা করছে দীপাবলির পর এই সংখ্যা দ্রুত বাড়বে। রাজ্যে আনুমানিক টোটোর সংখ্যা ১০ লক্ষেরও বেশি।

২০০২ বনাম ২০২৫! ৭ জেলার ভোটার তালিকায় ৫১% থেকে ৬৫% মিল, কোথায় সবচেয়ে কম জানেন?

রাজ্যের সাতটি জেলায় ২০০২ ও ২০২৫ সালের ভোটার তালিকার মধ্যে ৫১% থেকে ৬৫% নামের মিল পাওয়া গিয়েছে। সর্বাধিক মিল কালিম্পংয়ে, সর্বনিম্ন ঝাড়গ্রামে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুনভাবে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR) শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।