Homeখবররাজ্যরাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘মানহানিকর’ মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংযত করল হাইকোর্ট   

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘মানহানিকর’ মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংযত করল হাইকোর্ট   

প্রকাশিত

খবর অনলাইন ডেস্ক: রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ‘মানহানিকর বা বেঠিক’ বিবৃতি দেওয়া থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযত থাকতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। সংবাদসংস্থা পিটিআই এই খবর দিয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিন বলেছিলেন, মহিলারা তাঁর কাছে অভিযোগ করে বলেছেন ‘তাঁরা রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন’, ঠিক তার পরের দিন ২৮ জুন কলকাতা হাইকোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানিহানির মামলা দায়ের করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

রাজভবনে চুক্তিভিত্তিক এক মহিলা কর্মী ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ এ ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করে। এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ওই কথা বলেছেন বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই তাঁকে উদ্ধৃত করে।

‘মহিলারা যে রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন’, সোমবার হাইকোর্টে এই বক্তব্যে অনড় থাকেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজভবনে যে ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে, সে সম্পর্কে আর কোনো মন্তব্য থেকে মুখ্যমন্ত্রী, দুই নবনির্বাচিত এমএলএ সংযত রাখার জন্য রাজ্যপাল তাঁর কৌসুলির মাধ্যমে হাইকোর্টে আর্জি পেশ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌঁসুলি বলেন, রাজভবনে কিছু ক্রিয়াকলাপ নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে সে ব্যাপারে মহিলাদের আশঙ্কাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়।

সংবিধানের ৩৬১ ধারামতে, একজন রাজ্যপাল যতদিন পদে থাকেন ততদিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যায় না।

শুনানির সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌঁসুলি দাবি করেন, রাজ্যপালের আর্জি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, এই ব্যাপারে শুনানি চালানোর আইনগত অধিকার বিচারপতি রাওয়ের আদালতের নেই।     

সংবিধানের ৩৬১ ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালদের যে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে যান মহিলা অভিযোগকারী। একজন রাজ্যপালকে খোলাখুলি রেহাই দেওয়ার জন্য যৌন নিগ্রহ বা হয়রানি তাঁর দায়িত্ব-কর্তব্যের পড়ে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি উচ্চ আদালতকে অনুরোধ করেন বলে সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের রিপোর্টে জানা যায়।

আরও পড়ুন

এসএসসি চাকরি বাতিল মামলা: ৫ পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ 

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

উচ্চমাধ্যমিক তৃতীয় সেমিস্টারে পাশের হার ৯৩.৭২%, ২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ; প্রথম স্থানে দু’জন, দু’জনেই পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র

চলতি বছরে উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টারে পাশের হার ৯৩.৭২ শতাংশ, যা ২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ। প্রথম হয়েছেন পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের দুই ছাত্র প্রীতম বল্লভ ও আদিত্য নারায়ণ জানা। পাশের হারে শীর্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনা।

বিহার নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ এনডিএ-র, ১ কোটি চাকরি ও চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আর কী প্রতিশ্রুতি?

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ প্রকাশ করল তাদের ইস্তাহার। এক কোটি চাকরি, চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সাতটি এক্সপ্রেসওয়ে, এবং এক কোটি ‘লক্ষপতি দিদি’-র প্রতিশ্রুতি। মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ জোর।

দার্জিলিং-সহ উত্তরের একাধিক জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস, দক্ষিণে অল্পস্বল্প বৃষ্টি, কতদিন থাকবে মোন্থার প্রভাব?

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হলেও তার প্রভাব পড়ছে গোটা বাংলায়। উত্তরবঙ্গে চার জেলায় লাল সতর্কতা জারি, দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রইল।

গুয়াহাটিতে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টে মধ্যাহ্নভোজের আগেই চা-পানের বিরতি! কেন এই সিদ্ধান্ত? 

খবর অনলাইন ডেস্ক: টস, মধ্যাহ্নভোজের বিরতি, চা-পানের বিরতি, তার পর সে দিনের খেলা শেষ...

আরও পড়ুন

দার্জিলিং-সহ উত্তরের একাধিক জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস, দক্ষিণে অল্পস্বল্প বৃষ্টি, কতদিন থাকবে মোন্থার প্রভাব?

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হলেও তার প্রভাব পড়ছে গোটা বাংলায়। উত্তরবঙ্গে চার জেলায় লাল সতর্কতা জারি, দক্ষিণবঙ্গেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রইল।

ঘূর্ণিঝড় মোন্থার অবশিষ্ট শক্তির জেরে উত্তরবঙ্গে অতি প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা, দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টির আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা স্থলভাগে আঘাত হানার পর দুর্বল হলেও তার প্রভাবে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মোন্থা আপডেট:  কাকিনাড়ায় আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড়, দুর্বল হলেও বৃষ্টি ঝড়ে বিপর্যস্ত একাধিক রাজ্য, বাংলায় কতদিন বৃষ্টি?

গত ২৮ অক্টোবর রাতে কাকিনাড়া উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় মোন্থা। ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিমি গতিবেগে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড়টি। বর্তমানে দুর্বল হলেও দক্ষিণ ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি ও বিপর্যয়ের আশঙ্কা রইল।