নয়াদিল্লি: পৃথিবী পর্যবেক্ষণের জন্য শুক্রবার সকালে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে EOS-8 সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)।
এই রকেটের ভিতরে একটি নতুন আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট EOS-8 উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। একটি ছোট উপগ্রহ SR-0 DEMOSAT, একটি যাত্রী উপগ্রহও রকেটের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে। উভয় স্যাটেলাইট পৃথিবী থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার উচ্চতায় একটি বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরবে।
SSLV-D3-EOS-08 মিশনে বহন করা উপগ্রহগুলির ওজন ১৭৫.৬ কেজি। EOS-08 মিশনের উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে রয়েছে একটি মাইক্রোস্যাটেলাইট ডিজাইন এবং বিকাশ করা। EOS 08-এর তিনটি পেলোড রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল ইনফ্রারেড পেলোড (EOIR), গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম-রিফ্লেক্টোমেট্রি পেলোড (GNSS-R) এবং এসআইসি ইউভি ডসিমিটার (SiC UV Dosimeter)।
EOIR পেলোড স্যাটেলাইট ভিত্তিক নজরদারি, দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ, পরিবেশগত পর্যবেক্ষণ ইত্যাদির জন্য ছবি তুলবে। সেভাবেই এটি তৈরি করা হয়েছে। GNSS-R সমুদ্র পৃষ্ঠের বায়ু বিশ্লেষণ, মাটির আর্দ্রতা অনুমান, বন্যা সনাক্তকরণ ইত্যাদির জন্য দূরবর্তী অনুধাবন ক্ষমতা প্রদর্শন করবে। এসআইসি ইউভি ডসিমিটার গগনযান মিশনে অতিবেগুনী বিকিরণ নিরীক্ষণ করবে। এসআইসি ইউভি ডসিমিটার গগনযান মিশনে অতিবেগুনী বিকিরণ নিরীক্ষণ করবে।
বলে রাখা ভালো, EOIR পেলোড মিড-ওয়েভ এবং লং-ওয়েভ ইনফ্রারেড ব্যান্ড উভয়ের ইমেজ ক্যাপচার করবে, এটি দিনে ও রাতে কার্যকরীভাবে কাজ করতে সক্ষম করবে। মিড-ওয়েভ ইনফ্রারেড (MWIR) এবং লং-ওয়েভ ইনফ্রারেড (LWIR) হল এমন ধরনের আলো যা আমরা আমাদের চোখ দিয়ে দেখতে পারি না কিন্তু তাপ হিসেবে অনুভব করতে পারি। উপগ্রহ পৃথিবী পর্যবেক্ষণ এবং অধ্যয়ন করতে এই ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়।
এ দিন শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ছোট উপগ্রহ লঞ্চ ভেহিকেল (SSLV-D3) চড়ে আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট (EOS-08) সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে ইসরো। এই মিশনটি SSLV উন্নয়ন পর্বের সমাপ্তি চিহ্নিত করে, যা ভারতীয় শিল্প এবং নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড (NSIL)-এর ভবিষ্যত অপারেশনাল মিশনের পথ সুগম করে দেয়।