লেবাননে হিজবুল্লাকে লক্ষ্য করে ইজরায়েলি হামলায় সোমবার ৪৯২ জন নিহত হয়েছেন, যা ২০০৬ সালের পর থেকে সীমান্তের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। হিজবুল্লা প্রতিশোধ হিসেবে ইজরায়েলের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ২০০ রকেট নিক্ষেপ করেছে।
হাইফা, আফুলা, নাজারেথ এবং ইজরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন শহরে রকেট সতর্কতা বাজে যখন ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লা বাহিনী রাতভর ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটি এবং বিমানবন্দর লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, অধিকাংশ রকেট তাদের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত করা হয়েছে এবং কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইজরায়েল-হিজবুল্লা সংঘাত, যা গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা সংঘাতের পর থেকে বাড়ছে, পুরো অঞ্চলে যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তির আহ্বান জানালেও উত্তেজনা বাড়ছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ইজরায়েলি বিমান হামলায় ৪৯২ জন নিহত এবং ১,৬৪৫ জন আহত হয়েছে। এই সংখ্যা ২০০৬ সালের ইজরায়েল-হিজবুল্লা যুদ্ধের পর লেবাননে একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটিয়েছে।
ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, দেশের সামরিক বাহিনী উত্তর সীমান্তের নিরাপত্তা ভারসাম্য পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেছেন, সামরিক বাহিনী লেবাননে পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং শীঘ্রই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইজরায়েল ও লেবাননের সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে তাঁকে ব্রিফ করা হয়েছে। তিনি পরিস্থিতি প্রশমনের জন্য মার্কিন প্রশাসনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক মধ্যপ্রাচ্যে আরও সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা করেছে।
ও দিকে, ফ্রান্স এই সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে। মিসর ও তুরস্ক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য সংঘাত ঠেকানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছে।