নয়াদিল্লি: সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’কে ধর্ষণ আইনে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার কোনও প্রয়োজন নেই। তাদের মতে, এই বিষয়ে অন্যান্য “সঠিকভাবে পরিকল্পিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা” বিদ্যমান রয়েছে। কেন্দ্র আরও দাবি করেছে যে বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়টি আইনগত নয় বরং সামাজিক সমস্যা। এর প্রভাব সমাজে সরাসরি পড়ে।
কেন্দ্রের বক্তব্য অনুযায়ী, বিবাহের ক্ষেত্রে মহিলার সম্মতি কখনোই উপেক্ষার নয় এবং যেকোনো ধরনের লঙ্ঘন হলে তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা থাকা উচিত। তবে তারা বলেছে, বিবাহের মধ্যে যে ধরনের লঙ্ঘন ঘটে, তা বাইরের লঙ্ঘনের থেকে ভিন্ন। বিবাহিত দম্পতির মধ্যে যৌন সম্পর্কের যে একটি চলমান প্রত্যাশা থাকে, সেটি স্বামীকে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে জোর করা বা চাপ দেওয়ার অধিকার দেয় না। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য কাউকে ধর্ষণ আইনের অধীনে শাস্তি দেওয়া অত্যধিক এবং অযৌক্তিক হতে পারে।
কেন্দ্র সরকার আরও জানিয়েছে, সংসদ ইতিমধ্যেই বিবাহিত মহিলাদের সম্মতি রক্ষার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিবাহিত মহিলাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা দণ্ডনীয় আইন এবং ২০০৫ সালের গৃহ সহিংসতা প্রতিরোধ আইন।
সামাজিক ও আইনি প্রেক্ষাপটে বিবাহের ভিত্তি যৌন সম্পর্কের উপর নির্ভরশীল নয়। কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তি দিয়েছে যে যদি আইনসভা মনে করে যে বিবাহের প্রতিষ্ঠানের রক্ষা জরুরি, তবে আদালতের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ বাতিল করা উচিত নয়।
এমন অবস্থায়, বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা ও সমস্ত সংশ্লিষ্ট মহলের মতামত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর কেন্দ্র জোর দিয়েছে।