লেবাননে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর পেজার ও অন্যান্য ডিভাইসে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ইজরায়েল। সেই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ভারতের নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএম নিয়ে বড়োসড়ো প্রশ্ন। কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভি প্রশ্ন তুলেছিলেন, “যদি ইজরায়েল পেজার এবং ওয়াকিটকি টার্গেট করতে পারে, তাহলে ইভিএমের নিরাপত্তা নিয়ে কী বলা যায়?” এমন প্রশ্নেরই উত্তর খোলসা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার মঙ্গলবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উত্থাপিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে সন্দেহের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “পেজার সংযুক্ত (কানেকটেড), কিন্তু ইভিএম সংযুক্ত নয়।”
নির্বাচন কমিশন দাবি করে যে, ইভিএমগুলি হ্যাক করা সম্ভব নয় কারণ এগুলি কোনও ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত নয় এবং কাজ করার জন্য বিদ্যুতেরও প্রয়োজন হয় না। কমিশন জানায়, ইভিএমগুলি ৭.৫ ভোল্টের অ্যালকালাইন পাওয়ার প্যাক দ্বারা চালিত হয়, যা ৫টি ১.৫ ভোল্টের ‘এএ’ আকারের সেলের মাধ্যমে তৈরি।
ইভিএমের দুটি প্রধান ইউনিট রয়েছে: কন্ট্রোল ইউনিট এবং ব্যালটিং ইউনিট। ভোটাররা ব্লু বোতাম চাপার মাধ্যমে প্রার্থী এবং তাঁদের প্রতীক নির্বাচন করতে পারেন। নির্বাচন কমিশন আরও উল্লেখ করে যে, ইভিএমগুলি যান্ত্রিক এবং বৈদ্যুতিনভাবে সুরক্ষিত, ফলে ট্যাম্পারিং বা ম্যানিপুলেশনের কোনো সুযোগ নেই। ইভিএমের সফটওয়্যারটি একটি ওয়ান টাইম প্রোগ্রামেবল চিপে বার্ন করা হয়েছে, যা পরিবর্তন বা হ্যাক করা সম্ভব নয়।
এছাড়া, কমিশন জানায়, ইভিএমগুলি কোনও তার বা ওয়্যারলেস সিস্টেমের মাধ্যমে অন্য যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত নয়, তাই ডেটার ম্যানিপুলেশনের সম্ভাবনা নেই। এইভাবে, ভোটের সুষ্ঠুতা এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ইভিএমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, লেবাননে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর পেজার ও অন্যান্য ডিভাইস বিস্ফোরণের ঘটনার প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন এই বক্তব্য পেশ করল। কমিশনের দাবি অনুযায়ী, ইভিএমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে।