নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের বুদগামে সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ উত্তরপ্রদেশের দুই পরিযায়ী শ্রমিক। আহত শ্রমিকদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার ঘটে এই ঘটনা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে আহতরা বর্তমানে বিপদমুক্ত। আহতদের মধ্যে একজনের নাম উসমান মালিক (২০) এবং অন্যজন সোহিয়ান (২৫)।
গত দুই সপ্তাহে কাশ্মীর উপত্যকায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর এটি চতুর্থ হামলা। এই ধারাবাহিক জঙ্গি হামলার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে ২০ অক্টোবর। সেবার গন্দরবাল জেলায় একটি টানেল নির্মাণ স্থলে হামলায় সাতজন নিহত হন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন একজন স্থানীয় চিকিৎসক এবং বিহারের দুই শ্রমিক।
জঙ্গিদের মধ্যে একজন কুলগামের বাসিন্দা, যিনি ২০২৩ সালে একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন। অন্যজন পাকিস্তান থেকে আসা বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, বৃহস্পতিবার গুলমার্গ অঞ্চলের বোটা পাঠরিতে আরও একটি হামলার ঘটনায় দুই সেনা ও দুই পোর্টার প্রাণ হারান। পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, এই জঙ্গিরা আগস্টের প্রথম থেকেই আফরাওয়াতের উঁচু এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছিল।
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর একের পর এক জঙ্গি হামলা আশঙ্কার পরিবেশ তৈরি করেছে। গত দুই সপ্তাহে এ ধরনের হামলা চতুর্থবার ঘটল, যা সেখানকার পরিস্থিতিকে ক্রমশ বিপজ্জনক করে তুলছে। কাশ্মীর উপত্যকায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর এই ধারাবাহিক হামলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার দাবি উঠেছে।
এ ধরনের হামলা পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর বড় প্রভাব ফেলছে, কারণ অনেক শ্রমিক পরিবার অর্থনৈতিক কারণে কাশ্মীর অঞ্চলে কাজ করতে আসেন। ধারাবাহিক এহেন আক্রমণে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের হামলার ঘটনা শুধু পরিযায়ী শ্রমিকদেরই নয়, বরং সাধারণ নাগরিকদের মনোবলকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।