কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা স্কুল পড়ুয়াদের একটি দল রাজ্যের নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী ড. শশী পাঁজা এবং দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের সামনে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে বেশ কিছু দাবি জানাল।
‘শোনো আগামীকে’ থিমে ইউনিসেফের উদ্যোগে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশু অধিকার রক্ষার বার্তা এবং বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্যে এই সাক্ষাৎপর্বের আয়োজন করা হয়।
এই বৈঠকে মন্ত্রী ড. শশী পাঁজা শিশুদের কাছ থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্প, সবুজ সাথী, অঙ্গনওয়াড়ি, মিড ডে মিল, আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডের ট্যাবলেট গ্রহণ, শিশু সহায়তা হেল্পলাইন (১০৯৮), শিশু সুরক্ষা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সুবিধা এবং তাদের অধিকার বিষয়ে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করেন।
ক্লাস-১১ এর ছাত্রী এবং কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্য পারভিন সুলতানা (নাম পরিবর্তিত) দাবি করেন, “শিশু সুরক্ষা কমিটির বৈঠক স্কুলের কারণে আমরা মিস করি। সেগুলি শনিবার বিকেল বা রবিবার করার অনুরোধ জানাই।” মন্ত্রী বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আশ্বাস দেন এবং শিশু সুরক্ষা কমিটিগুলিকে সময়সূচি পরিবর্তনের নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেন।
শাগুফতা (নাম পরিবর্তিত), যিনি শ্রবণ প্রতিবন্ধী, জানান যে ১০৯৮ হেল্পলাইন নম্বরে শুধুমাত্র ফোন কলের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো সম্ভব হয়। তিনি ম্যাসেজের মাধ্যমে অভিযোগ জানানোর সুবিধা যুক্ত করার দাবি তোলেন। ড. পাঁজা জানান, এই সুবিধা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মন্ত্রী শিশুদেরকে তাদের বন্ধু এবং সহপাঠীদের তাদের অধিকার ও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে সচেতন করার আহ্বান জানান।
ইউনিসেফের পশ্চিমবঙ্গ চিফ ড. মঞ্জুর হোসেন বলেন, “এই আলোচনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে শিশুদের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি আমাদের চিন্তার বাইরে ছিল। সেই সমস্যাগুলি তারা ইতিমধ্যেই তা তুলে ধরেছে। ভবিষ্যতে তাদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর জন্য ইউনিসেফ উদ্যোগ নেবে।”
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দফরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সঙ্ঘমিত্রা ঘোষও।