আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। সেই আবহে এ বার ময়নাতদন্তের মান যাচাই করতে আরও ১০টি দেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই।
গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, গভীর রাতে হাসপাতালের সেমিনার হলে তাঁকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত আরজি কর হাসপাতালেই হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দেহের একাধিক জায়গায় ক্ষতচিহ্ন এবং যৌন হেনস্তার প্রমাণের উল্লেখ ছিল। শ্বাসরোধ করে খুনের কথাও রিপোর্টে লেখা ছিল।
তবে সেই রিপোর্টকে ঘিরে ময়নাতদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠে আসে। তদন্তের স্বার্থে ওই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় ফরেনসিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হলেও বিতর্ক থামেনি। এ বার ময়নাতদন্তের মান নিয়ে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআই আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে নির্যাতিতার মৃত্যুর আগে ও পরে আরও ১০টি দেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট চেয়েছে।
জানা গিয়েছে, সিবিআই-এর চাওয়া এই ১০টি রিপোর্টের সঙ্গে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তুলনা করে দেখা হবে। এতে বোঝা যাবে, ময়নাতদন্তে ইচ্ছাকৃত কোনও গাফিলতি হয়েছে কি না। এ ছাড়া, নমুনার কারচুপি বা অদলবদল হয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। একই সঙ্গে, অন্যান্য হাসপাতালের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের সঙ্গেও আরজি করের রিপোর্টের মান তুলনা করবে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে তদন্তে উঠে আসা প্রতিটি তথ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বিষয়টি আরও গভীরে গিয়ে খতিয়ে দেখছে।