ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিল করে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চালু করার আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনকারী কেএ পল-এর যুক্তি ছিল, ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ এবং এটি গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং পিবি ভারালের বেঞ্চ শুনানির সময় বলে, “জেতার সময় ইভিএম নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকে না, কিন্তু হারলেই কারচুপির প্রশ্ন ওঠে। চন্দ্রবাবু নাইডু বা ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি যখন হারেন, তখন ইভিএম ত্রুটির অভিযোগ তোলেন। কিন্তু জিতলে কিছু বলেন না। আমরা এই আবেদন খারিজ করছি। এই জায়গা এসব তর্ক করার জন্য নয়।”
একটি সংস্থার প্রধান এবং লক্ষাধিক অনাথ ও বিধবার পুনর্বাসনে কাজ করেছেন কেএ পল। তিনি সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন যে ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ এবং এটি গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রৃসহ অন্যান্য দেশের উদাহরণ দিয়ে ব্যালট পেপার পদ্ধতির পক্ষে সওয়াল করেন।
বেঞ্চের প্রশ্ন, “আপনার এইসব চমৎকার আইডিয়া কোথা থেকে আসে? আপনি যে সামাজিক কাজে যুক্ত, সেখানেই থাকুন। রাজনৈতিক বিষয়ে কেন ঢুকছেন?”
ইভিএমের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার সম্প্রতি বলেন, ইভিএম একাধিক স্তরে সুরক্ষিত এবং স্বচ্ছ। তিনি বলেন, “শেষ ১০-১৫টি নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকান। জিতলে কোনও অভিযোগ নেই, হারলেই সমস্যা। আমরা কতবার ব্যাখ্যা করব? বিশ্বে এমন আর কোনও দেশ দেখান যেখানকার নির্বাচনে এত স্বচ্ছতা এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়”।
এই প্রসঙ্গে কেএ পল আরও দাবি করেন, ইভিএমে ত্রুটির সম্ভাবনা নিয়ে এলন মাস্কের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও মন্তব্য করেছেন। কিন্তু আদালত স্পষ্ট জানায়, ইভিএম নিয়ে এমন কোনও সিদ্ধান্তে তারা পৌঁছাতে রাজি নয়। এই ধরনের দাবি আদালতে তর্কযোগ্য নয়।


 
                                    